নয়াদিল্লি: গতকাল রাতে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারত ও চিনের সেনাবাহিনীর মধ্যে যে সংঘর্ষ হয়, তার জন্য চিনকেই দায়ী করল বিদেশমন্ত্রক। আজ এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘সীমান্তের বিষয়ে দায়িত্ববান আচরণ বজায় রেখে ভারত নিশ্চিত করেছে, যাবতীয় কার্যকলাপ যেন ভারতের সীমানার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। আমরা চিনের কাছ থেকেও একই আচরণ আশা করেছিলাম। আমাদের আশা ছিল, বৈঠকে যে বিষয়ে আমরা একমত হয়েছিলাম, তার ভিত্তিতে লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল (এলএসি) থেকে শান্তিপূর্ণভাবে সরে যাবে চিনের সেনা। কিন্তু কথা রাখেনি চিন।’

বিদেশমন্ত্রকের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, ‘চিনের সেনাবাহিনী একতরফাভাবে সীমান্তে স্থিতাবস্থা বদল করার যে চেষ্টা চালায়, তার ফলেই গতকাল সন্ধে ও রাতে সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষে দু’পক্ষেরই ক্ষয়-ক্ষতি হয়। চিন যদি বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকত, তাহলে এই ঘটনা এড়ানো সম্ভব হত। আমাদের মতে, সীমান্তে শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে হবে এবং আলোচনার মাধ্যমে যাবতীয় সমস্যা মিটিয়ে নিতে হবে। একইসঙ্গে আমরা ভারতের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা বজায় রাখার বিষয়ে দায়বদ্ধ।’

লাদাখে এই সংঘর্ষে ভারতের এক সেনা অফিসার ও দুই জওয়ান প্রাণ হারিয়েছেন। মৃতদের মধ্যে আছেন  ১৬ বিহার রেজিমেন্টের কম্যান্ডিং অফিসার কর্নেল সন্তোষ বাবু। এছাড়া মৃত্যু হয়েছে তামিলনাড়ুর সেনা জওয়ান পালানির। অন্যদিকে, চিনের পাঁচ সেনা জওয়ানের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।

আজ এই ঘটনার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অবহিত করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। তিনি এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে যোগ দেন। এই বৈঠকে ছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপীন রাওয়াত ও তিন বাহিনীর প্রধান। সীমান্তে উত্তেজনা কমানোর জন্য কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা শুরু হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।