গত বছর সংসদে দুর্দান্ত বক্তৃতা দিয়ে গোটা দেশের নজর কেড়ে নেন নামগিয়াল। তিনি বলেন, দশকের পর দশক ধরে লাদাখ অবহেলিত থেকেছে। জম্মু ও কাশ্মীরে এতদিন ধরে যে সরকার থেকেছে, তারা কেউই লাদাখের উন্নয়নের দিকে নজর দেয়নি। তাঁর এই বক্তৃতাই লাদাখের উপর নতুন করে দৃষ্টি ঘুরিয়ে দেয়। জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা নিয়ে এতদিন ধরে আলোচনা, বিতর্ক হলেও, লাদাখ নিয়ে কোনওরকম আলোচনা হয়নি। নামগিয়ালের বক্তৃতা এবং ৩৭০ ধারা বিলোপের পর থেকেই লাদাখ নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার লাদাখের উন্নয়নের দিকে নজর দেওয়ার কথা বলে।
সম্প্রতি পূর্ব লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনা তৈরি হয়। চিনের সেনাবাহিনী ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে পড়েছে বলে জানা যায়। ভারতও সীমান্তে বাড়তি সেনা মোতায়েন করে। তবে শেষপর্যন্ত সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে আলোচনার ভিত্তিতে উত্তেজনা কমার ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। চিনের সেনাবাহিনী দুই থেকে আড়াই কিলোমিটার পিছিয়ে গিয়েছে। এরপর ভারতও সীমান্ত থেকে বাড়তি সেনা সরিয়ে আনছে।
রাহুল অবশ্য এই ইস্যুতে সরকারকে নিশানা করে চলেছেন। আজও তিনি সরকারকে আক্রমণ করে ট্যুইট করেছেন, ‘চিনারা লাদাখে এসে আমাদের অঞ্চল দখল করে নিয়েছে। এই সময় প্রধানমন্ত্রী নীরবতা অবলম্বন করেছেন। তাঁকে কোথাও দেখা যাচ্ছে না।’ রাহুলের এই আক্রমণেরই জবাব দিলেন লাদাখের সাংসদ।