কলকাতা: রাজ্যের ক্রীড়া দফতরের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন তিনি। যদিও নির্বাচনের কিছুদিন আগে তিনি মন্ত্রীত্ব ত্যাগ করেন। রাজনীতি থেকেও সরে আসেন। জল্পনা ছড়িয়েছিল যে, তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন তিনি। কিন্তু সেরকম কিছু হয়নি।
করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে গোটা দেশ যখন উথালপাতাল, তখন বাংলার করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য রাজ্য প্রশাসনের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন তিনি, লক্ষ্মীরতন শুক্ল।
৬ মে, বৃহস্পতিবার ছিল লক্ষ্মীরতনের জন্মদিন। ৪০ পূর্ণ করলেন জাতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার। আর সেদিনই এবারের আইপিএলের ধারাভাষ্য দিয়ে উপার্জিত পুরো টাকা তিনি দান করলেন মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে।
এদিনি নিজেই ট্যুইট করে সে কথা জানিয়েছেন প্রাক্তন অলরাউন্ডার। লক্ষ্মী লিখেছেন, 'আজ ৬ মে, আমার জন্মদিনে ২০২১ সালের আইপিএলে ধারাভাষ্যকার হিসাবে কাজ করে যে অর্থ উপার্জন করেছিলাম, তার পুরোটাই দান করলাম রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে। আমার নিজের লোকেদের জন্য করোনা সংক্রমণের এই দ্বিতীয় ঢেউয়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধে আমার তরফ থেকে সামান্য অনুদান। করোনাকে হারাতেই হবে। সকলে নিরাপদে থাকুন।'
এর আগেও করোনা অতিমারির মোকাবিলায় ময়দানে নেমেছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার। নিজের খরচে পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরানোর ব্যবস্থা করেছেন বাংলা দলের প্রাক্তন অধিনায়ক।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ক্রমশ চোখ রাঙাচ্ছে বঙ্গে। বুধবার রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়ে গিয়েছে ১৮ হাজার। মৃত্যু হয়েছে ১০৩ জনের। পরিস্থিতির বিচার করেই তাই গতকালই তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ নিয়ে আংশিক লকডাউনে আরও কড়াকড়ির কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ থেকে লোকাল ট্রেন বন্ধ ও বাস-মেট্রোর সংখ্যা অর্ধেক করার কথাও ঘোষণা করেছিলেন। এদিন কার্যত সেই ঘোষণার ব্যাখ্যা শোনা গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। সাধারণ মানুষ অসুবিধায় পড়বেন জেনেও পরিস্থিতির বিচারে বাধ্য হয়েই কার্যত লকডাউনের কড়াকড়ির সিদ্ধান্ত, এমনটাই বারবার বোঝালেন তিনি।