- Home
-
খবর
-
আজ ফোকাস-এ
LIVE UPDATE: অগ্নিগর্ভ অসম, বদলি গুয়াহাটি পুলিশ কমিশনার সহ একাধিক শীর্ষ পুলিশ আধিকারিক
LIVE UPDATE: অগ্নিগর্ভ অসম, বদলি গুয়াহাটি পুলিশ কমিশনার সহ একাধিক শীর্ষ পুলিশ আধিকারিক
নতুন কমিশনার হয়েছেন মুন্না প্রসাদ গুপ্তা।
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ
Last Updated:
12 Dec 2019 07:21 PM
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রতিবাদে উত্তাল হওয়া অসম সহ দেশের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলির মানুষকে টুইটারের মাধ্যমে শান্ত ও আশ্বস্ত করার চেষ্টা করায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে তীব্র কটাক্ষ করল কংগ্রেস। মোদির টুইটের পাল্টা হিসেবে বিরোধী দল লিখেছে, আপনার আশ্বাসবাণী অসমবাসীর কাছে পৌঁছচ্ছে না। কারণ, ওখানে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এদিন অসমীয়া ইংরেজিতে করা একাধিক টুইটে মোদি বলেন, ব্যক্তিগতভাবে তিনি নিজে এবং কেন্দ্র সরকার সংবিধানের ৬ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী অসমবাসীর রাজনৈতিক, ভাষা, সাংস্কৃতিক ও ভূমি অধিকার রক্ষা করতে সাংবিধানিকভাবে দায়বদ্ধ। মোদি লেখেন, অসম ও পূর্ব ও উত্তর-পূর্বের সকল ভাই-বোনেদের আশ্বস্ত করছি, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস হওয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনও কারণ নেই। কেউ আপনাদের অধিকার, পরিচয়, সংস্কৃতি ও ভাষা কেড়ে নিতে পারবে না। অসম চুক্তির ৬ নম্বর ধারা অনুযায়ী তা সংরক্ষিত। দিনে দিনে তা আরও বিকশিত, সমৃদ্ধ হবে। আমি বিশেষ করে অসমের যুবসম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, তাঁরা যেন চিন্তিত না হন। প্রধানমন্ত্রী লেখেন, আপনাদের উন্নয়নে রাজ্য সরকারের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করবে কেন্দ্র।
মোদির এই টুইটকেই কটাক্ষ করেছে কংগ্রেস। বিরোধী দল লিখেছে, আমাদের অসমিয়া ভাই বোনেরা আপনার এই আশ্বাস-বার্তা পড়তে পারবেন না মোদিজি। আপনি হয়তো ভুলে গিয়েছেন, তাঁদের ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে।
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাসের পর থেকেই উত্তপ্ত অসমের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি হঠাৎ করে অবনতি হওয়ায়, রদবদল আনা হল অসম পুলিশে। সরিয়ে দেওয়া হয়েছে গুয়াহাটির পুলিশ কমিশনার দীপক কুমারকে। তার জায়গায় নতুন কমিশনার হয়েছেন মুন্না প্রসাদ গুপ্তা। গতকাল পর্যন্ত এসপিজি-র দায়িত্বে ছিলেন গুপ্তা। এছাড়া, এডিজি আইনশৃঙ্খলা মুকেশ অগ্রবালকে বদলি করে দেওয়া হয়েছে সিআইডিতে। নতুন এডিজি আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব পেয়েছেন জিপি সিংহ। এর আগে, দিল্লিতে এনআইএ-র আইজি পদে কর্মরত ছিলেন জিপি সিংহ। অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ পদে বদলি করে দেওয়া হয়েছে এডিজি সিআইডি এল আর বিষ্ণোইকেও। তাঁকে এডিজি (প্রশিক্ষণ ও সশস্ত্র পুলিশ) করা হয়েছে। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এডিজি এস এন সিংহ এবং ডিআইজি আনন্দপ্রকাশ তিওয়ারিকে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ঘিরে উত্তাল অসম সহ উত্তর-পূর্ব। কার্ফু জারি গুয়াহাটি ও ডিব্রুগড়ে। যার প্রভাব পড়ল ট্রেন ও বিমান চলাচলে। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক জানিয়েছেন, গুয়াহাটি থেকে উজান অসমগামী সমস্ত ট্রেন বাতিল করা হয়েছে।
রেলের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিমান পরিষেবাও। গুয়াহাটি, ডিব্রুগড়গামী একাধিক ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। ইন্ডিগো, ভিস্তারা, স্পাইসজেট উড়ান বাতিল করেছে। অন্যদিকে, গ্রাহকদের দিন পরিবর্তনের ফি মকুব করার কথা ঘোষণা করেছে গো এয়ার ও এয়ার এশিয়া। এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, তাদের কলকাতা-ডিব্রুগড় উড়ান বাতিল করা হয়েছে।
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলকে ঘিরে অসম সহ উত্তর-পূর্বে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার নেপথ্যে গুজব ছড়ানোর অভিযোগের প্রেক্ষিতে উচ্চ-পর্যায়ের তদন্তের দাবি তুললেন বিজেপি সাংসদ। অসমের রাজ্যসভা সাংসদ কামাখ্যাপ্রসাদ তাসা বলেন, কারা বিভ্রান্ত ছড়াল যে, সব বাংলাদেশিরা অসমে আসতে চলেছে? কারা বাড়ি গিয়ে প্রতিবাদে সামিল হতে মানুষকে উস্কাচ্ছে? আমরা এই মর্মে উচ্চ-পর্যায়ের তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করছি, এধরনের গুজব বিস্তারের মোকাবিলা করতে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে। তাসা জানান, নাগরিকত্ব বিল নিয়ে দল আগেই নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছে। তা হল-- আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে আসা সংখ্যালঘু ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হওয়া উদ্বাস্তুদের এদেশে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। সাংসদ যোগ করেন, আমরা প্রতিবাদী মানুষদের দোষ দিই না। কেউ একজন বললেন, অসম শেষ হয়ে যাবে। এই মন্তব্য দ্ব্যর্থহীনভাবে অসমবাসীকে প্রভাবিত করবে। কে ওদের প্ররোচনা দিচ্ছে, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। তাঁর অভিযোগ, উত্তর-পূর্বে গুজব ছড়িয়েঅশান্তি সৃষ্টি করার একটা সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র চলছে।
সংসদে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ হওয়ার পর উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার জেরে লোকসভায় মুলতুবি প্রস্তাবের নোটিস পেশ করে কংগ্রেস। বিলের প্রতিবাদে অসমের বিরোধী দল এবং স্থানীয়রা রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ-বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন। সেই বিষয়টিকে মাথায় রেখে এদিন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী, কে সুরেশ ও গৌরব গগৈ নোটিস দেন। কংগ্রেসের তরফে এই বিলের বিরোধিতা করা হয়। দলের দাবি, এই বিল সংবিধানের নীতি-বিরুদ্ধ।
এদিকে, বিলের প্রতিবাদে অসমের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়া নিয়ে শাসক বিজেপি তথা এনডিএ-কে একহাত নিলেন কংগ্রেস নেত্রী অম্বিকা সোনি। তিনি বলেন, সংসদে যখন বিল নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল, তখন বিরোধীরা একসুরে উত্তর-পূর্ব মানুষদের সংশয়ের বিষয়গুলি উত্থাপন করেছিল। বিরোধীরা একসুরে মানুষের জীবনে বিলের কু-প্রভাবের আশঙ্কা ব্যক্ত করেছিল। কিন্তু, শাসক শিবির কোনও কথায় কর্ণপাত করেনি।
সংসদের উভয়কক্ষে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলে সমর্থন করেছে এনডিএ-র জোট সঙ্গী জেডি(ইউ)। এই নিয়ে দলের সহ-সভাপতি প্রশান্ত কিশোর প্রকাশ্যে নিজের ক্ষোভ আগেই জানিয়েছেন। এবার নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে দ্বিতীয়বার সরব হলেন প্রশান্ত কিশোর। টুইটারে প্রশান্ত কিশোর বলেন, বলা হয়েছিল, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নাগরিকত্ব অনুমোদন করবে, কারোর কাছ থেকে তা কেড়ে নেবে না। কিন্তু এ প্রসঙ্গে সত্যিটা হল, নাগরিক পঞ্জী ও নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল সরকারের হাতে ভয়ঙ্কর জোড়া অস্ত্র হয়ে উঠতে পারে। এর ফলে শুধু বৈষম্য নয়, ধর্মের ভিত্তিতে মানুষের বিচার করা যাবে।
শান্তি ও স্থিতাবস্থা বিঘ্নতা রুখতে অসমের ১০ জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরও ৪৮-ঘণ্টা বৃদ্ধি করল কেন্দ্র। নতুন নির্দেশিকা বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে কার্যকর হয়েছে। জানা গিয়েছে, পরিষেবা স্থগিত রাখা হয়েছে লখিমপুর, তিনসুকিয়া, ধেমাজি, ডিব্রুগড়, চড়াইদেও, শিবসাগর, জোরহাট, গোলাঘাট, কামরুপ(শহর) ও কামরুপ(জেলা)-য়।
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে অগ্নিগর্ভ অসম। প্রতিবাদ-বিক্ষোভের জেরে কার্যত স্তব্ধ অসম সহ দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল। পরিস্থিতি এতটাই জটিল আকার ধারণ করেছে যে, প্রশাসনকে সেনার সাহায্য নিতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে অসম সহ সমগ্র উত্তর-পূর্বাঞ্চলবাসীকে অভয় দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
ট্যুইটারে তিনি লিখেছেন, অসম ও পূর্ব ও উত্তর-পূর্বের সকল ভাই-বোনেদের আশ্বস্ত করছি, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস হওয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনও কারণ নেই। কেউ আপনাদের অধিকার, পরিচয়, সংস্কৃতি ও ভাষা কেড়ে নিতে পারবে না। অসম চুক্তির ৬ নম্বর ধারা অনুযায়ী তা সংরক্ষিত। দিনে দিনে তা আরও বিকশিত, সমৃদ্ধ হবে। আমি বিশেষ করে অসমের যুবসম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, তাঁরা যেন চিন্তিত না হন। প্রধানমন্ত্রী লেখেন, আপনাদের উন্নয়নে রাজ্য সরকারের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করবে কেন্দ্র।
পাশাপাশি, বিল নিয়ে বিভ্রান্ত ছড়ানোর অভিযোগে কংগ্রেসকে একহাত নেন তিনি। মোদি বলেন, উত্তর-পূর্বে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি সৃষ্টি করার চেষ্টা চলছে। এই অঞ্চলের বেশিরভাগ অংশই বিলের আওতার বাইরে। কিন্তু, কংগ্রেস ও কয়েকটি দলের রাজনীতি সর্বদা অবৈধ অনুপ্রবেশকারী নির্ভর। তারাই, উত্তর-পূর্বে আগুনে ঘৃতাহুতি দিচ্ছে। অতীতে কংগ্রেস সংখ্যালঘু উদ্বাস্তুদের জন্য অনেক কিছু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু, কিছুই করেনি। পাকিস্তানের সংখ্যালঘুরা যেভাবে বসবাস করছে, একই ব্যবহার তাঁরা এখানে কংগ্রেস আমলে পেয়েছে।
মোদি আরও বলেন, আমি এটুকু বলতে চাই, যাঁরা ভারতীয় নাগরিক, যাঁদের ভারতীয় নাগরিকত্ব রয়েছে, তাঁরা হিন্দু হোন, বা মুসলিম, শিখ, খ্রিশ্চান, বৌদ্ধ, জৈন--- এই বিল তাঁদের জন্য নয়। তাঁরা নির্ভয়ে বসবাস করুন। ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে যাঁরা ভারতে এসেছেন, তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে অগ্নিগর্ভ থাকা অসমের পরিস্থিতিকে স্বাভাবিক করতে রাজ্যবাসীকে শান্তি বজায় রাখার আবেদন করলেন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল। মানুষের কাছে তাঁর আবেদন, বিল নিয়ে কোনওভাবেই যেন তাঁরা বিভ্রান্ত না হন। তিনি জানান, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (সিএবি) হল একটি জাতীয় পর্যায়ের বিল। এই বিল নিয়ে অসমবাসীর ভীতি অমূলক।
এর মধ্যেই, কেন্দ্রীয় সূত্রে খবর, গুয়াহাটিতেই হবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের বৈঠক। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের আশা, ১-২ দিনে পরিস্থিতি হবে স্বাভাবিক। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহও আশ্বাস দিয়ে জানিয়েছেন, খুব তাড়াতাড়ি অসমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। মোদি-আবে বৈঠকের আগে মেঘালয়ের শিলংয়ে যাওয়ার কথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। নর্থ ইস্ট পুলিশ অ্যাকাডেমিতে যাওয়ার কথা তাঁর।
গুয়াহাটিতে বাতিল আইএসএল-এর ম্যাচ। ডিব্রুগড় থেকে উড়ান চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত ইন্ডিগোর। অসমগামী ট্রেন চলাচলে প্রভাব পড়েছে। একাধিক ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। সেনার তরফে জানানো হয়েছে, তারা প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য রয়েছে।
প্রেক্ষাপট
নয়াদিল্লি: অসমের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি সামলাতে সেখানে নামানো হল ৫ কলাম সেনা। ত্রিপুরায় মোতায়েন অসম রাইফেলসের তিন কলাম। এক-একটি কলামে প্রায় ৭০ জন জওয়ান এবং ১-২ জন অফিসার থাকেন। অসমের গুয়াহাটি ও ডিব্রুগড়ে জারি কার্ফু।
গতকাল থেকেই এই দুই জায়গার আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতির অবনতি হয়। এর পাশাপাশি, বুধবার সন্ধে ৭টা থেকে আগামী ২৪-ঘ্ণ্টার জন্য মোবাইল পরিষেবা স্থগিত রাখা হয়েছে লখিমপুর, তিনসুকিয়া, ধেমাজি, ডিব্রুগড়, চড়াইদেও, শিবসাগর, জোরহাট, গোলাঘাট, কামরুপ(শহর) ও কামরুপ(জেলা)।
প্রসঙ্গত, সোমবার রাতে লোকসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ হওয়া ইস্তক অগ্নিগর্ভ উত্তর-পূর্বাঞ্চল। অসমের বিভিন্ন জায়গায় গতকাল দফায় দফায় জনতা পুলিশ খণ্ডযুদ্ধ। বিক্ষোভকারীদের হঠাতে রবার বুলেট ও লাঠিচার্জ করে পুলিশ। ফাটানো হয় কাঁদানে গ্যাসের শেল। গুয়াহাটিতে বিক্ষোভকারীরা সচিবালয় অভিযান করে। তাঁদের পুলিশ বাধা দিলে পরিস্থিতি রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে। সকালে গুয়াহাটির খানাপাড়ায় টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ কলেজ পড়ুয়ারা। পড়ুয়াদের বিক্ষোভের জেরে দীর্ঘক্ষণ স্তব্ধ হয়ে পড়ে ৩৭ নং জাতীয় সড়ক। এলাকায় মোতায়েন করা হয় বিএসএফ ও র্যাফ। ডিব্রুগড়ে বিক্ষোভকারী ও পুলিশের খণ্ডযুদ্ধ বাধে। এখানেও লাঠিচার্জ করে পুলিশ। বিলের প্রতিবাদে ত্রিপুরাতেও চলছে বিক্ষোভ ও মিছিল।
গতকাল গুয়াহাটি বিমানবন্দরে আটকে পড়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল। যদিও, তিনি কোনওমনে শহরের মধ্যে দিয়েই নিজ বাসভবনে পৌঁছন। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল অনুযায়ী, মুসলিম বাদে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের থেকে আগত ৬টি ধর্মাবলম্বী শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। বিলের প্রতিবাদ করে বিক্ষোভকারীদের দাবি, এর ফলে শরণার্থীদের জন্য এখানকার আদি বাসিন্দাদের কর্মসংস্থান হ্রাস পাবে। ফলে, তাঁদের জীবিকা বিপন্ন হবে।