নয়াদিল্লি: ৩১ মে শেষ হচ্ছে লকডাউনের চতুর্থ পর্যায়। এর পর কী? মুখ্যমন্ত্রীদের মতামত জানার পর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন অমিত শাহ। সংক্রমিত ১১ রাজ্যে লকডাউন আরও বাড়ানোর ইঙ্গিত দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
বাড়তে পারে কি লকডাউন?হলেও বা কেমন হবে তার নিয়ম কানুন?


স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রের মতে, দেশের যা পরিস্থিতি, তাতে লকডাউন একেবারে তুলে নেওয়া ঝুঁকির হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অর্থনীতির কথা মাথায় রেখেও কনটেনমেন্ট জোনে কোনও শিথিলতা করার মত নেই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা, স্বাস্থ্য মন্ত্রকও।

সূত্রের খবর, লকডাউনের পঞ্চম পর্যায়ে আরও কিছু ছোট শহরে বিমান চলাচল শুরু হতে পারে। যদিও এখনই আন্তর্জাতিক বিমান চনাচন শুরু হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। দেশের বাইরে যাত্রীবাহী বিমান চালু হতে আগস্ট মাস, খবর সূত্রের।

এছাড়া, ১ জুন থেকে বাড়ানো হতে পারে ট্রেনের সংখ্যা। ২০০ টি ট্রেন চলতে পারে দেশের বিভিন্ন রুটে। ইতিমধ্যেই স্পেশ্যাল ট্রেনে ৫০ লাখ পরিযায়ী শ্রমিক গন্তব্যে ফিরে গেছে।

ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ আন্তঃরাজ্য বাস পরিষেবা শুরু করেছে। ১ জুন থেকে অন্যান্য রাজ্যও শুরু করে দিতে পারে এই পরিষেবা। মেট্রো রেলের ক্ষেত্রে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, সেই দিকেই তাকিয়ে আছে মানুষ। যদিও গণপরিবহণে মেনে চলতেই হবে করোনা বিধি।

সারা দেশে দোকান বাজার খোলার ক্ষেত্রেও পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আরও বেশি দোকান খোলার অনুমতি দিতে পারে কেন্দ্র। লকডাউনের চতুর্থ পর্যায়েও বন্ধ ছিল জিম, সিনেমা হল, মল ইত্যাদি। এবার কি সেগুলিতে ছাড় মিলবে ? সেদিকেই তাকিয়ে আমজনতা।

এদিকে চতুর্থ পর্যায়ের লকডাউনের শেষেও দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। করোনায় মৃত-আক্রান্তদের সংখ্যাবৃদ্ধি সর্বোচ্চে পৌঁছেছে আজ। গোটা দেশে একদিনে করোনায় ২৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত প্রায় ৮ হাজার। একদিনে সুস্থও হয়েছে ১১ হাজারের বেশি। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকার লকডাউন নিয়ে কী পদক্ষেপ নেয়, সেদিকেই তাকিয়ে আমজনতা।

যদিও চতুর্থ দফার লকডাউনের শেষেই বিভিন্ন ক্ষেত্রে কড়াকড়ি শিথিল করার ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর। তিনি ঘোষণা করেন, সব আসনে যাত্রী নিয়ে চলবে বাস। সোমবার থেকে খুলে যাবে ধর্মস্থানও। একসঙ্গে ১০জনের প্রবেশে অনুমতি মিলবে।

তিনি আরও বলেন, ৮ জুন থেকে পুরোদমে সরকারি ও বেসরকারি অফিস খুলে যাবে। পরে অবশ্য ট্যুইট করে জানানো হয়, ১০০ শতাংশ নয়, ৮ জুন থেকে ৭০ শতাংশ সরকারি কর্মীর হাজিরা থাকবে ।