নয়াদিল্লি: একটি বছর পার। ৩০ মে, ২০১৯। শপথ নিয়েছিল নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে নয়া সরকার, দ্বিতীয় মোদি সরকার। নানা রাজনৈতিক, সামাজিক ও সর্বোপরি স্বাস্থ্যক্ষেত্রে উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে একটি ঘটনাবহুল বছর পার করল এই সরকার।
বর্ষপূর্তি এল বিশ্বের সঙ্কটময় অধ্যায়ে। যখন জমায়েতে বাধা, জরুরি কাজ ছাড়া ঘরের বাইরে পা রাখা মানা। তাই প্রধানমন্ত্রী মোদি দেশবাসীকে উদ্দেশ্য করে লিখলেন চিঠি।
এই চিঠিতে তিনি তুলে ধরেছেন তাঁর সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচির কথা, প্রকল্পের কথা। লিখেছেন সরকারের সামনে আসা বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের কথা।
প্রধানমন্ত্রী নিখেছেন, " গত বছর এই দিন এক স্বর্ণ অধ্যায়ের সূচনা হয়েছিল। কয়েক দশক পর দেশ কোনও সরকার পূর্ণসময় ক্ষমতায় থাকার পর আবার তাকে ফিরিয়ে আনল নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতায়। আবারও আমি ১৩০ কোটি দেশবাসী ও গণতন্ত্রর সামনে মাথা নোয়াচ্ছি।''
তিনি আরও বলেন, স্বাভাবিক সময় হলে এই দিনটা অন্যভাবে পালিত হত। সবার মাঝে থেকেই তিনি উদযাপন করতেন। যদিও বর্তমান পরিস্থিতিতে তা সম্ভবই নয়। তাই চিঠির মাধ্যমেই আশীর্বাদ চান তিনি।
ক্ষমতায় আসার পর থেকে সার্জিকাল স্ট্রাইক, বালাকোটে বিমান হানা, জম্মু কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপ, তিন তালাক প্রথার অবসান, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন- এ সবের উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
উমপুনের সময় বাংলা ও ওড়িশার সাধারণ মানুষ যে সাহস দেখিয়েছেন, তারও প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। লকডাউনের সময় যে দুর্দশায় পড়তে হয়েছে পরিযায়ী শ্রমিকদের, চিঠিতে তার উল্লেখ রয়েছে। পাশাপাশি, সঙ্কট কাটিয়ে সরকারের ২০ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগের হাত ধরে যে দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে, সেই প্রত্যয়ের কথাও চিঠিতে লিখেছেন মোদি।
করোনা প্রসঙ্গে মোদি বলেন, প্রত্যেক ভারতবাসীরই গাইডলাইন মেনে চলা দরকার৷ মানুষ এখনও পর্যন্ত ধৈর্য রেখেছে বলেই ভারত অন্যদের থেকে ভাল অবস্থায়। এই লড়াই লম্বা সময়ের। কিন্তু জয় আসবেই।