করোনা পরিস্থিতিতে এ বছর স্থগিত মাহেশের রথযাত্রা উৎসব, কী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে অন্য মন্দির?

শনিবার হুগলির জেলাশাসক, শ্রীরামপুর পুরসভার চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মন্দির ট্রাস্ট কমিটি সূত্রে খবর, সিদ্ধান্ত হয়েছে, এবার রথে তোলা হবে না জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রাকে। তার বদলে পুজোর আচার হিসেবে নারায়ণ শিলাকে মাসির বাড়ি নিয়ে যাওয়া হবে।

Continues below advertisement
কলকাতা: দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হয় হুগলির মাহেশে। ১ জুন থেকে রাজ্যের ধর্মস্থান খোলার অনুমতি দিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু এই মুহূর্তে বড় উৎসব করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। সম্ভবত সেই কথা মাথায় রেখেই করোনা আবহে হুগলির মাহেশে রথযাত্রা উৎসব না পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রথযাত্রা এবছর স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্দির ট্রাস্ট কমিটি। শনিবার হুগলির জেলাশাসক, শ্রীরামপুর পুরসভার চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মন্দির ট্রাস্ট কমিটি সূত্রে খবর, সিদ্ধান্ত হয়েছে, এবার রথে তোলা হবে না জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রাকে। তার বদলে পুজোর আচার হিসেবে নারায়ণ শিলাকে মাসির বাড়ি নিয়ে যাওয়া হবে। রথের সময় মন্দিরের পিছনে অস্থায়ী মাসির বাড়ি গড়ে সেখানে নিয়ে যাওয়া হবে জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রাকে। আগামী ৫ জুন স্নান যাত্রা হবে মন্দিরের বারান্দায়। ২৩ জুন রথযাত্রা উপলক্ষে জনসমাগম এড়াতেই এই ব্যবস্থা। অন্যদিকে জানা গেছে, ১৫ জুন পর্যন্ত বন্ধ রাখা হবে তারাপীঠ মন্দির। তারপর কী হবে, সিদ্ধান্ত নেবে মন্দির কর্তৃপক্ষ। সাঁইথিয়া নন্দিকেশ্বরী মন্দির ১ জুন থেকে খোলা হবে বলে জানিয়ে দিল কর্তৃপক্ষ। সরকারি নিয়ম মেনে ১০ জন করে ঢুকতে পারবে মন্দিরে। তবে বড় অনুষ্ঠান সকল প্রকার বাতিল মন্দির প্রাঙ্গণে। নলহাটি নলহাটেশ্বরী মন্দির ও আকালী পুরে মহারাজ নন্দরাজের প্রতিষ্ঠিত গুহ্য কালীর মন্দির পয়লা জুন থেকে খোলা হবে জানিয়ে দিল কর্তৃপক্ষ। বক্রেশ্বর মন্দির কমিটি জানিয়েছে, কর্তৃপক্ষ বৈঠকের পর ঠিক করবে সোমবার থেকে মন্দির খোলা হবে কি না।
Continues below advertisement
Sponsored Links by Taboola