নয়াদিল্লি: রামমন্দির বিতর্কে বিজেপিকে নিশানা দিগ্বিজয় সিংহের। মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্য রামমন্দির তৈরির ইস্যুতে বিতর্ক বাঁধিয়েছে বিজেপিই। তাঁকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা এএনআই বলেছে, এটা কী অদ্ভূত ব্যাপার যে, ভোট এলেই রামমন্দির ইস্যু মাথাচাড়া দেয়। রামমন্দির হওয়া নিয়ে কারও আপত্তি নেই। আমরা সবাই মন্দির চাই। কিন্তু ভগবান রাম নিজেও বোধহয় বিতর্কিত জমিতে নিজের মন্দির হোক, চাইতেন না। রামমন্দির তৈরি নিয়ে বিতর্ক বাঁধানোই বিজেপির একমাত্র উদ্দেশ্য বলে অভিযোগ করেন দিগ্বিজয়। বলেন, সরকার বলছে, আদালতের রায় মেনে নেবে। আবার উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলছেন, ভগবান রামের যখন ইচ্ছা হবে, মন্দির হবে। অন্য নেতারা আবার অর্ডিন্যান্স দাবি করছেন। রামমন্দির নির্মাণ নিয়ে বিতর্ক তৈরি করতে চাইছেন ওঁরাই।







মধ্যপ্রদেশের ক্ষমতা দখল নিয়ে বিজেপি, কংগ্রেসের মধ্যে সংঘাত ক্রমশ বাড়ছে। বিজেপির লক্ষ্য, এবার নিয়ে টানা চতুর্থবার জয়ের ধারা বহাল রাখা। ১৫ বছরের খরা কাটিয়ে রাজ্যে ক্ষমতায় ফিরতে উঠেপড়ে লেগেছে কংগ্রেস।

কংগ্রেসের ইস্তাহারে আরএসএসকে নিষিদ্ধ করার প্রতিশ্রুতিকে কেন্দ্র করে জোর বাকযুদ্ধ চলছে। কংগ্রেস বলেছে, ২৮ নভেম্বরের বিধানসভা ভোটে জিতলে রাজ্যে সরকারি ভবনে আরএসএসের শাখার আয়োজন, তাতে সরকারি কর্মীদের যোগদান নিষিদ্ধ করা হবে। পাল্টা বিজেপি মুখপাত্র সম্বিত পাত্রের অভিযোগ, কংগ্রেস মন্দির, আরএসএসের শাখা করতে দেবে না বলেছে। ওরাই আগে বলেছিল, ভগবান রাম নিছক পৌরাণিক চরিত্র, বাস্তবে তাঁর কোনও অস্তিত্বই ছিল না। সেজন্যই ওরা রামমন্দির নির্মাণের বিরোধী।
মধ্যপ্রেদেশের কংগ্রেস সরকার ১৯৮১ সালে সরকারি ভবনে আরএসএসের কার্য্যকলাপ নিষিদ্ধ করে। ২০০০ সালে সেই নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করেন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিংহ। ২০০৬-এ বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান তুলে নেওয়ার আগে পর্যন্ত দুই বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী উমা ভারতী, বাবুলাল গৌরের আমলেও সেই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর ছিল।