ভোপাল ও নয়াদিল্লি: মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস বিধায়কদের ভাঙিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল বিজেপি। তবে সেই চেষ্টা সফল হয়নি। সরকারের সঙ্কট কেটে গিয়েছে। এমনই দাবি করলেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ। তাঁর কটাক্ষ, ‘চক্রান্ত করে অগণতান্ত্রিক উপায়ে রাজ্যে ক্ষমতায় ফেরার চেষ্টা করছে বিজেপি। তবে প্রতিবারের মতো এবারও তাদের এই চেষ্টা ব্য়র্থ হবে। এই চক্রান্ত মুঙ্গেরীলালের (টেলি সিরিয়ালের একটি চরিত্র) স্বপ্নে পরিণত হবে।’ জ্য়োতিরাদিত্য সিন্ধিয়ারও দাবি, দলীয় বিধায়কদের নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল বিজেপি। তবে কংগ্রেস সরকার সুরক্ষিত ও নিরাপদ।
এর আগে গতকাল মধ্যরাতে আচমকা কংগ্রেস ও সহযোগী দলের দশ বিধায়ক উধাও হয়ে যাওয়ায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়। যদিও, গভীর রাতে, মধ্য়প্রদেশে সরকারের দুই মন্ত্রী জিতু পটওয়ারি ও জয়বর্ধন সিংহ গুরুগ্রামের মানেসরের ওই রিসর্টে যান এবং কয়েকজনকে বের করে আনেন। কংগ্রেসের অভিযোগ, বিজেপি ওই বিধায়কদের ক্ষমতার বলে নিয়ে যায়। পরে কংগ্রেসের অন্যতম শীর্ষ নেতা ও মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিংহ দাবি করেন, ৬ বিধায়ক ফিরে এসেছেন। তাঁর আশা, বাকিরাও ফিরে আসবেন।
বিজেপি-র বিরুদ্ধে অভিযোগ, ওই বিধায়কদের গুরুগ্রামের একটি বিলাসবহুল রিসর্টে রাখা হয়। দিগ্বিজয়ের অভিযোগ, বিজেপির কয়েকজন অর্থের টোপ ও ভয় দেখিয়ে বিধায়কদের নিয়ে গিয়েছে। তাঁর দাবি, কমলনাথ সরকার ফেলে দিতে এক-একজন বিধায়ককে প্রায় ২৫-৩৫ কোটি টাকার টোপও দেওয়া হয়।
সূত্রের দাবি, ১০ জন বিধায়কের মধ্যে ২ বিএসপি, এক এসপি ও ৩ নির্দল বিধায়ক ফিরে এসেছেন। এছাড়া, ৪ বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস বিধায়ককে হরিয়ানা থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বিজেপি শাসিত আর এক রাজ্য কর্নাটকে।
বিক্ষুব্ধ বিধায়করা বিজেপির সঙ্গে চলে যাওয়ায় কংগ্রেস শাসিত মধ্যপ্রদেশ সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রশ্নের মুখে পড়ে যায়। ২৩০ আসন বিশিষ্ট মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় এখন সদস্য সংখ্যা ২২৮। কংগ্রেসের হাতে রয়েছে ১১৫ জন বিধায়ক। অন্যদিকে বিজেপির হাতে ১০৭ বিধায়ক। ম্যাজিক ফিগার ১১৫। বিদ্রোহী বিধায়করা শিবির বদল করলে মধ্যপ্রদেশের ছবি বদলে যেতে পারে।