নয়াদিল্লি: কংগ্রেসের যুব নেতাদের অন্যতম জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া পদত্যাগ করার পর গভীর সঙ্কটে মধ্যপ্রদেশ সরকার। জ্যোতিরাদিত্য বিজেপি-তে যোগ দেবেন বলে জোর জল্পনা তৈরি হয়েছে। আজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে সঙ্গে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করতে যান জ্যোতিরাদিত্য। তিনি কংগ্রেস ছাড়ায় মধ্যপ্রদেশ তো বটেই, এমনকী দিল্লির রাজনীতিতেও নতুন সমীকরণ তৈরি হয়েছে।
কিন্তু একদা রাহুল গাঁধীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত জ্যোতিরাদিত্য কেন কংগ্রেস ছাড়লেন? তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, রাজ্যসভা নির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণা নিয়ে কংগ্রেস নেতৃত্বের টালবাহানার জেরেই ক্ষুব্ধ হন এই নেতা। তিনি রাজ্যসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের প্রথম প্রার্থী হতে চাইছিলেন। কারণ, প্রথম আসনে জয় নিশ্চিত ছিল। দ্বিতীয় প্রার্থী হিসেবে জয় কঠিন বলেই মনে করেছিলেন জ্যোতিরাদিত্য। সেই কারণেই তিনি প্রথম আসনটি চাইছিলেন। কিন্তু মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ ও প্রবীণ নেতা দিগ্বিজয় সিংহের চাপে কংগ্রেস নেতৃত্ব প্রার্থী ঘোষণা নিয়ে ধীরে চলো নীতি নেয়। এই পরিস্থিতিতে বিকল্প পথের কথা ভাবতে শুরু করেন জ্যোতিরাদিত্য। এই সুযোগ হাতছাড়া করতে চায়নি বিজেপি। মধ্যপ্রদেশে সরকার ফেলার জন্য সক্রিয় হয় বিজেপি নেতৃত্ব। এর ফলশ্রুতিতেই কংগ্রেস ছাড়লেন একঝাঁক বিধায়ক।
কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীকে পাঠানো পদত্যাগপত্রে জ্যোতিরাদিত্য লিখেছেন, ‘কংগ্রেসে থেকে মানুষের জন্য কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। আমি কর্মী ও মানুষের কথা ভেবেই পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার অন্যতম দাবিদার ছিলেন জ্যোতিরাদিত্য। কিন্তু তাঁর বদলে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেওয়া হয় কমলনাথকে। এমনকী, মধ্যপ্রদেশের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিও করা হয়নি জ্যোতিরাদিত্যকে। তাঁকে লোকসভা নির্বাচনের আগে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের দায়িত্ব দিয়ে কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক করা হয়। কিন্তু সেখানে কংগ্রেস একটিও আসন পায়নি। তিনি নিজেও হেরে যান। এরপর পদত্যাগ করে দলকে বার্তা দিতে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় যাওয়া শুরু করেন তিনি। সম্প্রতি তিনি কমলনাথ সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে বলেন, ইস্তাহারে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালন করা না হলে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করবেন। এই মন্তব্যের জবাব দেননি কমলনাথ। এরপর ক্রমশঃ দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে শুরু করেন জ্যোতিরাদিত্য। তিনি ট্যুইটারে বায়োতে দলের নাম মুছে দেন। সেটা নিয়ে হইচই শুরু হওয়ায় তিনি দাবি করেন, দল ছাড়ছেন না। কিন্তু আজ আনুষ্ঠানিকভাবে দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করলেন।
এ বিষয়ে এক কংগ্রেস নেতা বলেছেন, ‘জ্যোতিরাদিত্য কংগ্রেস ছাড়বেন, এটা আমরা আশা করিনি।’ তবে আজ মধ্যপ্রদেশের এই প্রথমসারির নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে কংগ্রেস। যদিও বিজেপি শিবিরের দাবি, তিনি পদত্যাগ করেছেন।
Exit Poll 2024
(Source: Poll of Polls)
রাজ্যসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের প্রার্থী ঘোষণা নিয়ে টালবাহানাতেই ক্ষুব্ধ হন জ্যোতিরাদিত্য, খবর সূত্রের
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ
Updated at:
10 Mar 2020 05:50 PM (IST)
কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীকে পাঠানো পদত্যাগপত্রে জ্যোতিরাদিত্য লিখেছেন, ‘কংগ্রেসে থেকে মানুষের জন্য কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। আমি কর্মী ও মানুষের কথা ভেবেই পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
NEXT
PREV
আজ ফোকাস-এ (aaj-focus-e) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেইলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে ।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -