চেন্নাই: 'সঙ্কট মেটাতে গত ১০-১৫ মাস ধরে কী করছিল কেন্দ্রীয় সরকার? এপ্রিলে হঠাৎ কেন্দ্রীয় সরকার জেগে উঠল কেন? এখন উদ্যোগ নেওয়া হলে সেটা তো জুলাইয়ে কার্যকর হবে!’ কোভিড আবহে এবার কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলল মাদ্রাজ হাইকোর্ট।
অন্যদিকে, কেন্দ্র আদালতকে বলেছে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসবে ভাবাই যায়নি। 
এ ব্যাপারে আদালত প্রশ্ন করে, ‘এ বিষয়ে কেন্দ্র কি কোনও বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়েছে?’


কয়েকদিন আগেই করোনা আবহে ভোট পরিচালনা নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে তীব্র তিরস্কার করেছিল মাদ্রাজ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। প্রধানমন্ত্রী বিচারপতি প্রশ্ন তুললেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ যে আছড়ে পড়তে পারে, তার অনুমান না করে সরকার গত ১২-১৪ মাস কী করছিল?
সংক্রমনের দ্বিতীয় ঢেউ যখন তুঙ্গে তখন গৃহীত তড়িঘড়ি পদক্ষেপের উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, অতিমারী মোকাবিলায় কোনও অপরিকল্পিত ব্যবস্থা কার্যকরী হতে পারে না। সরকারের বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে পরিকল্পিত ও সুনির্দিষ্টভাবে কাজ করা উচিত। 
তামিলনাড়ু ও পন্ডিচেরির হাসপাতালগুলি বেড, ওষুধ, ভ্যাকসিন ,অক্সিজেন ও ভেন্টিলেটরের পর্যাপ্ততা সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলায় স্বতঃপ্রণোদিতভাবে শুনানি করতে গিয়ে পর্যবেক্ষণে এই মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি। রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে পরিস্থিতি মোকাবিলায় কীভাবে সাহায্য করা হয়েছে, তার জবাব দিতে কেন্দ্রকে বলেছে মাদ্রাজ হাইকোর্ট। 
কেন্দ্রের রিপোর্ট পেশ করে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল আর শঙ্করনারায়ণন বলেন, অবাধ যোগান নিশ্চিত করতে কেন্দ্র রেমডেসিভর উৎপাদনকারী ওষুধ কোম্পানিগুলি ও সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির নোডাল অফিসারদের মধ্যে সমন্বয় রেখে চলেছে। 
এই সময়ই প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, তাহলে গত ১২-১৪ মাস কী করছিল সরকার। 


তাঁর এই জবাবে সন্তুষ্ট হতে পারেনি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। গত বছরের লকডাউন সত্ত্বেও এ বছরের প্রস্তুতির অভাব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।


উল্লেখ্য, সারা দেশেই এখন করোনা সংক্রমণ দ্রুতগতিতে ছড়াচ্ছে। সেইসঙ্গে সারা দেশজুড়েই হাসপাতালে বেড, ওষুধ ও অক্সিজেনের অভাবের অভিযোগ সামনে আসেছে।