দেহরাদুন: উত্তরাখণ্ডের অন্যতম তীর্থক্ষেত্র কেদারনাথ মন্দির খুলছে ১৭ মে। অপর এক তীর্থক্ষেত্র বদ্রীনাথ মন্দির খুলছে ১৮ মে। তার আগেই ১৪ মে খুলে যাচ্ছে গঙ্গোত্রী ও যমুনোত্রী মন্দির। এই চারটি মন্দিরই খুলে যাওয়ার পর শুরু হবে চার ধাম যাত্রা।


বৃহস্পতিবার এই খবর জানিয়েছেন উত্তরাখণ্ড চার ধাম দেবস্থানম ম্যানেজমেন্ট বোর্ডের এক মুখপাত্র। তিনি আরও জানিয়েছেন, কেদারনাথ মন্দির বন্ধ হয়ে যায় গত বছরের ১৬ নভেম্বর। বদ্রীনাথ মন্দির বন্ধ হয় গত বছরের ১৯ নভেম্বর। ১৭ মে ভোর পাঁচটায় ভক্তদের জন্য কেজদারনাথ মন্দিরের দরজা খুলে যাবে। তার আগে ১৪ মে উখীমঠের ওঙ্কারেশ্বর মন্দির থেকে শিবের মূর্তি নিয়ে আসা হবে।


গত ৭ ফেব্রুয়ারি তুষারধসে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে উত্তরাখণ্ডের চামোলি। সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত হয় তপোবন বিদ্যুৎ প্রকল্প। জোশীমঠের কাছে বানের জলের তোড়ে একাধিক সেতু ভেঙে যায়। বহু গ্রাম বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর পাশাপাশি সেনাবাহিনী, আইটিবিপি, উত্তরাখণ্ড পুলিশও উদ্ধারকার্যে হাত লাগায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, পরিবেশকে অগ্রাহ্য করে যথেচ্ছ নির্মাণ, বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য নদীর স্বাভাবিক গতিপথ রুদ্ধ হওয়ার জন্যই এই বিপর্যয়। সরকারিভাবে অন্তত ৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যায়। বিপর্যয়ের কারণ জানার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করার কথা জানায় উত্তরাখণ্ড সরকার। তবে সেই তদন্ত কমিটির রিপোর্টে কী বলা হয়েছে, সেটা এখনও জানা যায়নি। এখনও পর্যন্ত চামোলির পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। এরই মধ্যে এ বছর চারধাম যাত্রা শুরু হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হল।