মুম্বই: মহারাষ্ট্রে দৈনিক করোনাভাইরাস আক্রান্তর সংখ্যা অনেকটাই কমেছে। এরইমধ্যে রাজ্য সরকার বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়ে রাজ্য সরকার স্কুল খোলার কথা জানিয়েছে। রাজ্যে গ্রামীণ এলাকায় ১৭ অগাস্ট থেকে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত সমস্ত স্কুল ফের খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, শহরাঞ্চলে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত স্কুলে পঠনপাঠনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে পরিস্থিতি পর্যালোচনার পর জেলা ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
উল্লেখ্য, বম্বে হাইকোর্ট একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির জন্য সাধারণ প্রবেশিকা পরীক্ষা সংক্রান্ত মহারাষ্ট্র সরকারের নির্দেশ মঙ্গলবার স্থগিত করে দিয়েছে। একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির জন্য দশম শ্রেণী উত্তীর্ণ পড়ুয়াদের জন্য সশরীরে হাজির হয়ে প্রবেশিকা পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল ২১ অগাস্ট। কিন্তু হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য সরকারের গত ২৮ মে জারি নির্দেশিকা খারিজ করে দিয়েছে। রাজ্য সরকারের নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল, দশম শ্রেণী উত্তীর্ণ সমস্ত বোর্ডের পড়ুয়াদের জন্য প্রবেশিকা পরীক্ষার আয়োজন করা হবে। এই পরীক্ষার ভিত্তিতে পড়ুয়ারা নিজেদের পছন্দমতো কলেজে ভর্তি হতে পারবে। কিন্তু হাইকোর্ট সরকারের এই নির্দেশ বাতিল করেছে।
এরইমধ্যে জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্র সরকার স্কুল খোলা নিয়ে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রোসিডিওর (এসওপি)। এতে বলা হয়েছে. গত মাসে যে শহর ও গ্রামগুলি করোনা আক্রান্তর সংখ্যা অনেকটাই কমেছে, সেই জায়গাগুলিতেই স্কুল খোলা যাবে। স্কুল যে ফের খুলছে, তা পড়ুয়াদের জানাতে স্কুল কর্তপক্ষকে 'স্কুলে ফেরো' প্রচার অভিযান শুরু করতে বলা হয়েছে। এসওপি-তে আরও বলা হয়েছে, পড়ুয়াদের শারীরিকভাবে উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করা যাবে না। ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তাদের বাবা-মায়ের অনুমতি নিতে হবে।
স্কুলগুলি ডিজিটাল থার্মোমিটার ও স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। স্কুল খোলার আগে সেখানে কোয়ারেন্টিন কেন্দ্র থাকলে তা সরিয়ে নিয়ে যেতে জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্কুল খোলার ৪৮ ঘণ্টা আগের- সমস্ত শিক্ষক ও কর্মীদের আরটিপিসিআর টেস্ট করাতে বলা হয়েছে।
এসওপি-তে বলা হয়েছে, দুটি বেঞ্চের মধ্যে ছয় ফুটের ব্যবধান রাখতে হবে এবং প্রতি বেঞ্চে থাকবে একজন পড়ুয়া। যে সমস্ত স্কুলে বেশি পড়ুয়া রয়েছে, সেখানে দুটি সেশনে পঠনপাঠনের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। স্কুলের সময় তিন থেকে চার ঘণ্টার বেশি হবে না। কোনও এক সময়ে ক্লাসে ১৫-২০ জনের বেশি পড়ুয়া থাকতে পারবে না। পর্যায় ক্রমিকভাবে ক্লাস নেওয়ার কথাও স্কুলগুলিকে বলা হয়েছে।
সমস্ত শিক্ষকদের টিকাকরণের বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে নিশ্চিত করতে হবে। স্কুলে আসার পথে শিক্ষকদের গণ পরিবহণের ব্যবহার এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে।