৩৫ ফুট উঁচু ব্রিজ থেকে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে পড়েছিল বাঘটি। এতে সে মেরুদণ্ড আঘাত পেয়েছিল বলে অনুমান। গতকাল বুধবার কুনাদা গ্রামের কাছে সিরনা নদীর বুকে পাথর ভরা অংশে বাঘটিকে আটকে থাকতে নজরে পড়ে। এরপর বাঘটিকে উদ্ধারের চেষ্টা করা হয়। নদীতে খাঁচা নামানো হয়। কিন্তু খাঁচার মধ্যে উঠতে পারেনি সে। বরং খাঁচার লোহার শিক টানতে গিয়ে দাঁতে আঘাত পায় বাঘটি।
চন্দ্রপুর সার্কেলের মুখ্য বনসংরক্ষক এস ভি রামারাও বলেছেন, বৃহস্পতিবার সকালে বাঘটিকে নদীতে মৃত অবস্থায় দেখা যায়।
এর আগে বন বিভাগের এক আধিকারিক বলেছিলেন, গত বুধবার একটি পশুকে মেরে বাঘটি সেতুতে খানিক বিশ্রাম নিয়েছিল। এরপর সে নদীতে ঝাঁপ দেয় এবং জখম হয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে বন দফতরের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন ও বাঘটিকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন। আলো কমে আসায় বুধবার সন্ধের পর উদ্ধার অভিযান বন্ধ করে দেওয়া হয়। রাতে বাঘটির গতিবিধি নজরে রাখার জন্য কয়েকজন কর্মী মোতায়েন রাখা হয়।
রামারাও জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সকালে বাঘটির গতিবিধির কোনও চিহ্ন নজরে পড়েনি। পরে বাঘটির মৃতদেহ জলে ভাসতে দেখা যায়। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে বাঘটির দেহের ময়নাতদন্ত করা হবে বলে জানা গেছে।