- 'এবার পুজোর একমাস আগেই মহালয়া। করোনার জন্য অনেক উৎসবই ঠিক মতো হয়নি। সবাই সুরক্ষা বিধি মেনে উৎসব করেছেন। অনেকেই সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ তৈরির চেষ্টা করেছে।'
- রাজ্য পুলিশ এলাকায় ৩৪ হাজার ৪৩৭টি পুজো। কলকাতা পুলিশ এলাকায় ২ হাজার ৫০৯টি। রাজ্য জুড়ে মহিলা পরিচালিত পুজো ১ হাজার ৭০৬টি পুজো হয়।
করোনা সংক্রমণ রুখতে মানতে হবে কী কী নিয়ম? মুখ্যমন্ত্রী বলছেন-
- 'এবার পুজোয় একটু খোলামেলা মণ্ডপ তৈরি করুন। পুজোর পরে যাতে সংক্রমণ না ছড়ায় দেখতে হবে।’
- ‘মণ্ডপের সাইড ঢাকা রাখতে হলে, ছাদ খোলা রাখুন। মণ্ডপ এমন করুন, যাতে হাওয়া চলাচল করে। মণ্ডপের চারিদিক খোলা রাখলে ছাদ খোলা রাখুন।’
- ‘মণ্ডপ এমনভাবে করুন, যাতে দর্শকদের মধ্যে দূরত্ব থাকে। ভিড় এড়াতে মণ্ডপে পৃথক ঢোকা-বেরোনোর পথ করতে হবে।
- 'সবার কাছে অনুরোধ, মণ্ডপে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখুন। মণ্ডপে মাস্ক পরে প্রবেশ করতে হবে, হাফ কিলোমিটার আগেই স্যানিটাইজার দিতে হবে দর্শনার্থীদের হাতে।’
- ‘কেউ মাস্ক না পরে এলে, মাস্ক পরতে বলতে হবে। নাক-মুখ আড়াল রাখতে পারলেই সংক্রমণ ঠেকানো যাবে’।
- ‘এবার সুরক্ষার জন্য বেশি সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক রাখতে হবে। স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য ফেস শিল্ডের ব্যবস্থা করতে হবে’।
- ‘অঞ্জলির সময় ভিড়, দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করতে হবে। একটা সময় না করে, আলাদা সময়ে সিঁদুর খেলুন'
- ‘ ক্লাবে ক্লাবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এড়িয়ে চললে ভাল।ভিড় এড়ানোর জন্য ক্লাব, মণ্ডপের আশেপাশে অনুষ্ঠান নয়।
- ‘পুজোর সময় যেকোনও মূল্যে ভিড় এড়াতে হবে। ভিড় এড়াতে রাস্তায় আরও বেশি মার্কিং,ব্যারিকেড দিতে হবে।’
- 'পুজোর জন্য দমকল কোনও চার্জ নেবে না। পুজোর জন্য পুরসভা, পঞ্চায়েত কোনও ফি নেবে না। পুজোর জন্য সিইএসসি ৫০ শতাংশ ছাড় দেবে। পুজোর জন্য রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদ ৫০ শতাংশ ছাড় দেবে'।
- ‘পুজোর ১০ বছর হয়ে গেলে অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি দেখা হবে। পুজো কমিটিগুলিকে ৫০ হাজার টাকা করে দেবে সরকার’।
- ‘আশা কর্মীদের ১ হাজার টাকা করে বেতন বাড়ছে। সিভিক ভলান্টিয়ারদের ১ হাজার টাকা করে বেতন বৃদ্ধি হবে।পুজোর সময় হকারদের পরিবারকে ২ হাজার টাকা করে সাহায্য দেওয়া হবে।’
- ‘এবার পুজোর কার্নিভালের কোনও ঝুঁকি নিচ্ছি না’