শিশুদের যৌন হেনস্থার অভিযোগ জানানোর ক্ষেত্রে সময়সীমা তুলে নেওয়া হোক, আইন মন্ত্রককে প্রস্তাব মানেকা গাঁধীর
Web Desk, ABP Ananda | 08 Oct 2018 07:32 PM (IST)
নয়াদিল্লি: বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো ভারতেও #MeToo আন্দোলন শুরু হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে নড়েচড়ে বসলে নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী মানেকা গাঁধী। আজ তিনি বলেছেন, ‘কাউকে শ্লীলতাহানি বা যৌন হেনস্থা করা হলে সেই ক্রোধ কোনওদিন দূর হয় না। ভারতেও #MeToo ক্যাম্পেন শুরু হওয়ায় আমি খুব খুশি। যে যৌন হেনস্থা করেছে, সংশ্লিষ্ট মহিলা সবসময় তাকে মনে রাখেন। তাই আমরা আইন মন্ত্রককে চিঠি লিখে বলেছি, যৌন হেনস্থার অভিযোগ জানানোর ক্ষেত্রে কোনও সময়সীমা রাখা উচিত নয়। ১০-১৫ বছর পরেও যাতে শিশুদের উপর যৌন হেনস্থার অভিযোগ জানানো যায়, তার ব্যবস্থা করতে হবে। আমাদের মত হল, শিশুদের উপর যৌন হেনস্থার অভিযোগ যতদিন পরেই জানানো হোক না কেন, তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।’ নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রকের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, কিছুদিন আগেই আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদকে চিঠি দিয়েছেন মানেকা। আইন মন্ত্রক সেই প্রস্তাব বিবেচনা করছে। তবে অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্ত, কঙ্গনা রানাওয়াত সহ একের পর এক মহিলা যৌন হেনস্থা ও অশোভন আচরণের অভিযোগ জানাতে থাকায় বিষয়টির তাৎপর্য বেড়ে গিয়েছে। ভারতীয় ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৪৬৮ ধারা অনুসারে, শিশুদের উপর যৌন হেনস্থা হলে তিন বছরের মধ্যে অভিযোগ দায়ের করতে হবে। ৪৭৩ ধারা অনুসারে, শিশুদের উপর যৌন হেনস্থার অভিযোগ দীর্ঘদিন পরে দায়ের করা হলে যদি তার উপযুক্ত কারণ দেখানো যায় বা আদালত বিচারের স্বার্থে পুরনো মামলার শুনানিতে রাজি হয়, তাহলেই বিচার প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে। এই ধারাই বদলাতে চাইছেন মানেকা। তিনি রবিশঙ্করকে লেখা চিঠিতে বলেছেন, ‘শিশুদের যৌন হেনস্থার ক্ষেত্রে পরিবারের কেউ বা ঘনিষ্ঠ কোনও ব্যক্তিই জড়িত থাকে। ফলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শিশুদের পক্ষে অভিযোগ দায়ের করা সম্ভব হয় না। সমীক্ষায় আরও জানা গিয়েছে, জীবনের শেষদিক পর্যন্ত শিশুদের মনে যৌন হেনস্থার আঘাত থেকে যায়। তাই যে কোনও সময়ই যাতে যৌন হেনস্থার অভিযোগ জানানো যায়, তার ব্যবস্থা করতে হবে।’