নয়াদিল্লি: মহারাষ্ট্রের ইয়াভাতমল জেলায় মানুষখেকো বাঘিনীকে মেরে ফেলায় মহারাষ্ট্র সরকারের তীব্র সমালোচনা করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মানেকা গাঁধী। তিনি ট্যুইট করে বলেছেন, ‘বাঘিনী অবনীকে ইয়াভাতমলে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। এতে আমি গভীরভাবে ব্যথিত। এটা অপরাধ ছাড়া আর কিছু না। বিভিন্ন মহল থেকে অনুরোধ সত্ত্বেও মহারাষ্ট্রের বনমন্ত্রী (সুধীর) মুঙ্গান্তিবর হত্যার নির্দেশ দেন। আমি এ বিষয়ে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফঢ়ণবীশের সঙ্গে কথা বলব। প্রাণীদের প্রতি সহমর্মিতার অভাবের বিষয়টি আইনগত, ফৌজদারি ও রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করব।’



মহারাষ্ট্রের বনমন্ত্রীর তীব্র সমালোচনা করে মানেকা বলেছেন, ‘মুঙ্গান্তিবর সবসময়ই হায়দরাবাদের শুটার শাফত আলি খানকে কাজে লাগান। এবার বাঘিনীকে মারতে তাঁর ছেলেকেও বেআইনিভাবে বন্দুক হাতে দেখা গিয়েছে। তাঁর ছেলের হত্যা করার অধিকার ছিল না। এটা পুরোপুরি বেআইনি। বনকর্মীরা বাঘিনীটিকে ঘুম পাড়ানো গুলি করে ধরার বিষয়ে বদ্ধপরিকর হলেও, মুঙ্গান্তিবরের নির্দেশে খুন করেছে। শাফত আলি খান মহারাষ্ট্রের চন্দ্রপুরে তিনটি বাঘ, অন্তত ১০টি চিতাবাঘ, কয়েকটি হাতি এবং ৩০০টি বুনো শূকর মেরেছেন। তিনি একজন অপরাধী। তিনি দেশ-বিরোধীদের অস্ত্র সরবরাহ করেন। হায়দরাবাদে একটি খুনের সঙ্গেও জড়িত থাকার অভিযোগ আছে তাঁর বিরুদ্ধে। এরকম একজন ব্যক্তিকে কীভাবে বেআইনি ও অমানবিক কাজের জন্য নিয়োগ করল রাজ্য সরকার, সেটা আমি বুঝতে পারছি না। অবনীর দু’টি বাচ্চার কী হবে সে বিষয়ে আমি উদ্বিগ্ন।’

মহারাষ্ট্রের বনমন্ত্রী অবশ্য দাবি করেছেন, বাঘিনীটিকে ঘুম পাড়ানি গুলি করার চেষ্টা হয়েছিল। বন দফতরের কেউ বাঘিনীটিকে মেরে ফেলতে চাননি। তিন মাস ধরে তাকে ধরার চেষ্টা করছিলেন কয়েকশো কর্মী। কিন্তু সব চেষ্টাই ব্যর্থ হয়। বাঘিনীটি বনকর্মীদের আক্রমণ করে। এরপরেই তাকে গুলি করা হয়।