নয়াদিল্লি: প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এম জে আকবরের দায়ের করা মানহানির মামলায় সাংবাদিক প্রিয়া রমনীকে রেহাই দিল দিল্লির একটি আদালত। আকবরের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছিলেন প্রিয়া। তারই পরিপ্রেক্ষিতে মামলা করেন আকবর। আজ সেই মামলার রায় দিতে গিয়ে আদালত বলেছে, ‘একজন মহিলা এক দশকেরও বেশি সময় পরে তাঁর অভিযোগ জানাতে পারেন।’


২০১৭-১৮ সালে যখন বিশ্বজুড়ে #MeToo আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে, তখন আকবরের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনেন প্রিয়া। তিনিই প্রথম মহিলা, যিনি আকবরের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনেন। প্রথমে ২০১৭ সালে একটি প্রতিবেদনের মাধ্যমে এবং তারপর ২০১৮ সালে ট্যুইট করে প্রিয়া অভিযোগ করেন, ১৯৯৪ সালে তিনি যখন চাকরির ইন্টারভিউ দিতে গিয়েছিলেন, তখন তাঁকে যৌন হেনস্থা করেন আকবর।


প্রিয়ার এই অভিযোগের পর ২০ জনেরও বেশি মহিলা এগিয়ে আসেন। প্রত্যেকেই অভিযোগ করেন, তাঁরা যখন সাংবাদিক হিসেবে বিভিন্ন সময়ে আকবরের সঙ্গে কাজ করেছেন, তখন তাঁদের যৌন হেনস্থা করা হয়েছে।


২০১৮ সালের ১৫ অক্টোবর প্রিয়ার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন আকবর। তিনি সব মহিলার অভিযোগই অস্বীকার করেন। তবে এর দু’দিনের মধ্যেই তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হন।


গত মাসে আকবরের আইনজীবী দাবি করেন, ‘প্রিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এবং অসৎ উদ্দেশে ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট ডিলিট করে দিয়ে প্রমাণ নষ্ট করেছেন। তিনি যে কথা বলছেন, তার মধ্যে এক কণাও সত্য নেই।’


কিন্তু আজ দিল্লির আদালতের রায় প্রিয়ার পক্ষেই গেল।