নয়াদিল্লি: পূর্ব লাদাখের গালওয়ানে চিনা সেনা জওয়ানদের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত ভারতীয় জওয়ানদের শ্রদ্ধা জানাতে স্মারক তৈরি হল। জুনের মাঝামাঝি চিনাবাহিনীর মোকাবিলা করতে গিয়ে শহিদ হন ২০ ভারতীয় জওয়ান। তাঁদের স্মরণে সৌধ তৈরি করা হয়েছে বলে ট্যুইট করে জানাল সংবাদ সংস্থা এএনআই।
লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলএসি) ভারত ও চিনের সেনাবাহিনীর সংঘাত বহাল রয়েছে। তা দীর্ঘমেয়াদি চেহারা নিয়েছে। তার মধ্যেই দেশের জন্য জীবন বলিদান দেওয়া ২০ জনের স্মরণে গড়ে তোলা হয়েছে ওই স্মারক। ২০ জনের নাম লেখা স্মারকটি রাখা হয়েছে লাদাখের কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা দুরবুক-শায়ক-দৌলত বেগ ওল্ডিতে কেএম-১২০ পোস্টের কাছে ইউনিট লেভেলে। সৌধে গত ১৫ জুন রাতের অপারেশনের বিস্তারিত বিবরণ খোদাই করা রয়েছে।


প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরে সংঘাত চলছিল দুই বিবদমান সেনাবাহিনীর। ১৫ জুন রাতে অপারেশন স্নো লেপার্ডের অধীনে ওয়াই জংশন এলাকার কাছে একটি নজরদারি চৌকি থেকে চিনা সেনাদের সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া চলাকালে আচমকা হামলা চালানো হয়। লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় আগ্রাসী চিনা সেনাদের হামলা রুখতে গিয়ে প্রাণ দেন ভারতীয় জওয়ানরা। প্রায় ৭ ঘন্টার সংঘর্ষে সংখ্যার জোরে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) সঙ্গে পাল্লা দিতে পারেননি ভারতীয় জওয়ানরা। কিন্তু প্রত্যাঘাত করতে পিছপা হননি তাঁরা। পিএলএ-রও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। প্রাণ দেন কর্নেল বি সন্তোষ বাবু, যিনি ছিলেন ১৬ বিহার শাখার কম্যান্ডিং অফিসার। তিনি নিহত হন গালওয়ান উপত্য়কার টহলদারি পয়েন্ট ১৪-র কাছে। ৩ মিডিয়াম রেজিমেন্ট, ৩ পঞ্জাব, ৮১ ফিল্ড রেজিমেন্টের জওয়ানরাও সংঘর্ষে জড়িত ছিলেন। চিনা জওয়ানরা এলাকা থেকে নিজেদের পরিকাঠামো সরানোর প্রতিশ্রুতি পালন না করে সেখান থেকে সরে না যাওয়ায় তুমুল সংঘর্ষ হয় ভারতীয় জওয়ানদের সঙ্গে।
তবে চিনা পিএলএ বাহিনীরও একাধিক জওয়ানের মৃত্যু হয়।সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছিল, প্রায় ৩৫ জন চিনা জওয়ানও নিহত হয় সংঘর্ষে। যদিও চিনা তরফে সরকারি ভাবে বিবৃতি দিয়ে তা স্বীকার করা হয়নি। গালওয়ান সংঘর্ষে জড়িত ভারতীয় জওয়ানদের অনুমান, অন্তত ৪০ জন চিনা সেনা নিহত হয়।