ভোটারদের কাছে পৌঁছনোর জন্য দলের মেরা পরিবার-ভাজপা পরিবার প্রচার অভিযানের সূচনা করে গুজরাত থেকে বিজেপি নেতা ও কর্মীদের অমিত শাহ বলেছেন, দুর্দশাগ্রস্তদের সেবার কাজ প্রধানমন্ত্রী মোদি যাতে চালিয়ে যেতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে কেন্দ্রে সম্পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতার সরকার প্রয়োজন।
অমিত শাহ দাবি করেছেন, বিশ্বে ভারতের সুপারপাওয়ার হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সারা দেশ ঘুরে দেখেছি যে, মানুষ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পাশে সর্বশক্তি দিয়ে রয়েছেন। মানুষের চোখে আমি মোদির প্রতি ভালোবাসা দেখেছি।
মহাজোট নিয়ে দলের নেতা ও কর্মীদের মনে যে প্রশ্ন উঠেছে, তা নিয়ে বিজেপি সভাপতি বলেছেন, এই মহাজোটের কোনও প্রভাবই পড়বে না। তিনি বলেছেন, দেবেগৌড়া(প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা জেডিএস নেতা) যদি গুজরাতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী) মহারাষ্ট্রে বা অখিলেশ যাদব (উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী) যদি কেরলে ভাষণ দেন, তাহলে কী হবে? এটা সম্পূর্ণ রাজ্যস্তরের ভোট, তাই লোকসভা ভোটে এর কোনও প্রভাবই পড়বে না।
দলের কর্মীদের মানুষের কাছে পৌঁছনোর বার্তা দিয়ে অমিত শাহ দাবি করেছেন, বিরোধীদের কাছে আগামী নির্বাচনে কোনও সুযোগই নেই।
উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যে যেখানে সবচেয়ে বেশি ৮০ টি আসন রয়েছে, সেখানে বিজেপি ভালো ফল করবে বলে আত্মবিশ্বাসী অমিত শাহ। তাঁর দাবি, উত্তরপ্রদেশে ৭৪ টির কম আসন বিজেপি পাবে না।
এদিন বিজেপি সভাপতি আরও একবার গাঁধী পরিবারকে নিশানা করেছেন। তিনি বলেছেন, কংগ্রেসে প্রধানমন্ত্রী পদ তো ‘জন্মসূত্রে’ একটি পরিবারের জন্যই সংরক্ষিত। তাঁর কটাক্ষ, কংগ্রেসের কোনও কর্মী কখনও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কথা ভাবতে পর্যন্ত পেরেছেন!
অমিত শাহর বলেছেন, বিজেপিতে তাঁর মতো সাধারণ একজন বুথ কর্মী দলের সভাপতি পদে পৌঁছে যেতে পারেন, একজন চাওয়ালা প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন।
প্রিয়ঙ্কা গাঁধীর আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে যোগদানকেও কটাক্ষ করেছেন অমিত শাহ। তিনি বলেছেন, ‘ভাই’ রাহুল গাঁধী বিবাহিত নন. তাই এখন ‘বোন’ প্রিয়ঙ্কা রাজনীতির আঙিনায় এসেছেন।