নয়াদিল্লি: এমএলএ হওয়ার আগে নিজের কোনও সক্রিয় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টই ছিল না তাঁর, কারণ পর্যাপ্ত অর্থই থাকত না তাঁর কাছে। জানালেন নরেন্দ্র মোদী। শনিবার পেমেন্ট ব্যাঙ্কের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠানে নিজের স্কুল জীবনের কথা স্মরণ করেন তিনি, জানান, দেনা ব্যাঙ্কের অফার করা স্কিমে পড়ুয়াদের একটি খেলনা ব্যাঙ্ক দেওয়া হয়েছিল, একটি অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়া হয়েছিল তাদের জন্য। মোদী বলেন, আমাকেও একটা দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু সেটা সবসময় খালিই পড়ে থাকত। পরে গ্রাম ছাড়ি। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টটা থেকে যায়। ব্যাঙ্কের লোকজন প্রতি বছর সেটা পুনর্নবীকরণ করতেন। তাঁরা সেটা বন্ধ করে দেওয়ার জন্য আমার খোঁজ করতেন। অবশেষে ৩২ বছর বাদে ওঁরা জানতে পারেন, আমি নির্দিষ্ট একটা জায়গায় আছি। সেখানে এসে তাঁরা আমায় বলেন, দয়া করে এই কাগজপত্রে সই করুন, আপনার অ্যাকাউন্টটা বন্ধ করতে হবে।


গুজরাতে বিধায়ক হওয়ার পর যখন বেতন পেতে থাকেন, তখনই অ্যাকাউন্ট খোলেন বলে জানান মোদী।

প্রধানমন্ত্রী ভারতের ডাক বিভাগের পেমেন্টস ব্যাঙ্কের সূচনা করে জানান, অসংখ্য ডাকঘর ও প্রায় ৩ লক্ষ পোস্টম্যান ও গ্রামীণ ডাকসেবকদের যে বিরাট নেটওয়ার্ক আছে, তার সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার সাধ্য কারও নেই, তার মাধ্যমেই প্রতিটি নাগরিকের দরজায় পৌঁছে যাবে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা।
‘ডাকিয়াদের’ সঙ্গে স্থানীয় মানুষের প্রাণের টানের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের ওপর লোকের আস্থা টলে যেতে পারে, কিন্তু পোস্টম্যানের ক্ষেত্রে তা কখনই হয় না। বহুকাল আগে কোনও পোস্টম্যান গ্রাম থেকে আরেক গ্রামে যাওয়ার পথে কখনও ডাকাতের হামলায় পড়তেন না, কেননা ডাকাতরা জানত, সেই পোস্টম্যান হয়তো বা শহরে কাজ করা ছেলের মানি অর্ডার করে গ্রামে মা-কে পাঠানো টাকা নিয়ে যাচ্ছেন।