লকডাউনে ভয়ঙ্করভাবে বিপর্যস্ত পরিযায়ী শ্রমিকরা। গেছে কাজ। গেছে ছাদ। খাবারের সংস্থান না করতে পেরে শহর থেকে গ্রামে গ্রামে ফিরে গিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু কাজ না থাকলে কীভাবে চলবে আগামী দিন? সেই কথা মাথায় রেখেই নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করলেন "গরীব কল্যান রোজগার অভিযান"।
প্রত্যেক রাজ্যেই পরিযায়ী শ্রমিকরা ফিরেছে। তবে পরিযায়ী সমস্যার প্রভাব সবথেকে বেশি পড়েছে ৬ রাজ্যের উপর। রাজ্যগুলির ১১৬ টি জেলা বেছে নিয়েছে সরকার। প্রাথমিকভাবে ওই জেলাগুলিই এই অভিযানের আওতায় পড়বে। কাজ-হারাদের রোজগারের ব্যবস্থা করার উদ্দেশেই মোদি সরকারের এই যোজনা।


জেনে নিন এই যোজনা সম্পর্কে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।






জেনে নিন এই যোজনা সম্পর্কে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।


- প্রধানমন্ত্রীর দফতর সূত্রে খবর, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশা - এই ৬ রাজ্যের মোট ১১৬টি জেলার জন্য এই প্রকল্প।


- বিহারের তেলিহার গ্রাম থেকে ২০ জুন এই প্রকল্পের সূচনা হবে। ভিডিও কনফারেন্সের মারফত এর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। উপস্থিত থাকবেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে আরও ৫ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও হাজির থাকবেন।


- ১২৫ দিনের এই ক্যাম্পেনে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ২৫ ধরনের কাজ দেওয়া হবে পরিযায়ীদের। এতে করে তাঁদের সাময়িক সুরাহা মিলবে।


- এই প্রকল্পের জন্য সরকার ৫০,০০০ কোটি টাকা রবাদ্দ করা হয়েছে।


-হিসেব বলছে এই ৬ রাজ্যের প্রায় ২৫ হাজার পরিযায়ী ঘরে ফিরেছেন।


-এই প্রকল্পে সারা দেশের ২/৩ অংশ ঘরে-ফেরা শ্রমিক উপকৃত হবেন।


- এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য একযোগে কাজ করবে গ্রামীণ উন্নয়ন, পঞ্চায়েতি রাজ, সড়ক পরিবহণ, খনি, টেলিকম, কৃষি সহ একাধিক দফতর।