নয়াদিল্লি: মঙ্গলবার ছিল জাতীয় সংবাদমাধ্যম দিবস। প্রতি বছর ১৬ নভেম্বর ভারতে স্বাধীন ও দায়িত্ববান সংবাদমাধ্যমকে  স্বীকৃতি জানানোর জন্য দিনটি বিশেষভাবে পালিত হয়। এই দিনটিতে প্রেস কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার ভূমিকার প্রতিও সম্মান জানানো হয়।


ভারতে প্রথম জাতীয় সংবাদমাধ্যম দিবস পালিত হয় ১৯৫৬ সালে। সাংবাদিকতার নীতি সুরক্ষিত করা এবং সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষা করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়। তার ফলশ্রুতিতেই ১০ বছর পর গঠিত হয় প্রেস কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া। এই সংগঠনই দেশে সংবাদমাধ্যমের কার্যকলাপের উপর নজর রাখে। সংবাদমাধ্যমের বিশ্বাসযোগ্যতা যাতে অক্ষুণ্ণ থাকে, তার জন্য প্রেস কাউন্সিলের বিশেষ ভূমিকা আছে। দেশে স্বাস্থ্যকর গণতন্ত্র যাতে বজায় থাকে, তার জন্যও বিশেষ ভূমিকা রয়েছে প্রেস কাউন্সিলের। ভারতের সংবাদমাধ্যমের উপর যাতে বাইরের কারও চাপ না থাকে, সেটাও নিশ্চিত করার চেষ্টা করে প্রেস কাউন্সিল। 






১৯৬৬ সালের ৪ জুলাই প্রেস কাউন্সিল গঠিত হয়। তবে এই সংস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করে ১৬ নভেম্বর থেকে। তারপর থেকেই ১৬ নভেম্বর দিনটি জাতীয় সংবাদমাধ্যম দিবস হিসেবে পালিত হয়।


এবারের জাতীয় সংবাদমাধ্যম দিবসের থিম ছিল, ‘কে সংবাদমাধ্যমকে ভয় পায় না?’ নয়াদিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল প্রেস কাউন্সিল। সেই অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রখ্যাত সাংবাদিক স্বামীনাথন গুরুমূর্তি।


১৯৭৮ সালের প্রেস কাউন্সিল আইন অনুসারে স্থাপিত হয় প্রেস কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া। এটি স্বাধীন সংস্থা হিসেবে কাজ করে। ভারতে সংবাদমাধ্যমের নিয়ামক সংস্থা হিসেবে কাজ করে প্রেস কাউন্সিল। সংবাদমাধ্য়মের স্বাধীনতা রক্ষা করাই প্রেস কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার প্রধান কাজ। বর্তমানে প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি চন্দ্রমৌলী কুমার প্রসাদ। তাঁকে স্বল্প মেয়াদের জন্য এই পদে নিয়োগ করা হয়েছে।


প্রেস কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ায় সাধারণত ২৯ জন সদস্য থাকেন। চেয়ারম্যান হন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি। বাকি ২৮ জন সদস্যের মধ্যে ২০ জন থাকেন সংবাদমাধ্যম থেকে। বাকি আটজনের মধ্যে পাঁচজন লোকসভা ও রাজ্যসভার সদস্য থাকেন। বাকি তিনজন সাহিত্য অ্যাকাডেমি, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ও বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া থেকে মনোনীত হন।