কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: অবশেষে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ‘ভুয়ো’ চিঠি সরাল ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল। নেতাজি পরিবারের সদস্য সুগত বসুকে চিঠি দিয়ে জানাল ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল কর্তৃপক্ষ। ‘নকল’ চিঠি সরানোর কথা জানানো হয়েছে, জানালেন সুগত বসু। 


ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে প্রদর্শিত নেতাজির চিঠি ভুয়ো, সম্প্রতি এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করে নেতাজি রিসার্চ ব্যুরো। ভুয়ো চিঠি সরিয়ে নেওয়ার আর্জি জানিয়ে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেন সুগত বসু। তখন ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়ার কথা জানায়। এরপর আজ সুগত বসুকে জানানো হল, সংশ্লিষ্ট চিঠি সরানো হয়েছে। 


২৩ জানুয়ারি ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে ‘নির্ভীক সুভাষ’ নামে স্থায়ী একটি গ্যালারি এবং অন্যান্য বিপ্লবীদের নিয়ে ‘বিপ্লবী ভারত’ নামে একটি গ্যালারির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানেই নেতাজির ভুয়ো চিঠি প্রদর্শিত হচ্ছে। এমন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেন ইতিহাসবিদ সুগত বসু। তাঁর অভিযোগ, ১৯২১ সালের ২২ এপ্রিল সিভিল সার্ভিস থেকে নেতাজির ইস্তফার চিঠিটি শোভা পাচ্ছে ভিক্টোরিয়ায়, কিন্তু সে চিঠির হাতের লেখা নেতাজিরই নয়। এমনকী চিঠিতে বানানও ভুল আছে। তাছাড়াও সুগত বসুর দাবি, মহম্মদ জিয়াউদ্দিনের ছদ্মবেশে নেতাজির যে ছবি ভিক্টোরিয়ায় প্রদর্শিত হচ্ছে তার কোনও বাস্তব অস্তিত্ব নেই। 


বসু পরিবারের দাবি, আসল চিঠিটি ১৯৭১ সালে লন্ডন থেকে সংগ্রহ করে এনেছিলেন নেতাজির ভ্রাতুষ্পুত্র শিশিরকুমার বসু এবং কৃষ্ণা বসু। বিগত ৫০ বছর ধরে আসল চিঠিটি রাখা আছে এলগিন রোডের নেতাজির বাড়িতে, মিউজিয়ামে। কৃষ্ণা বসুর ‘ইতিহাসের সন্ধানে’ বইতে সেই চিঠিটি ব্যবহারও করা হয়েছে। সুগত বসুর দাবি, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে রাখা সেই চিঠির উৎস, নেতাজি রিসার্চ ব্যুরো বলা হলেও কেউ তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।


২৩ জানুয়ারি ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে সরকারি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সামনে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি ওঠায় বিতর্ক বেঁধেছিল। প্রতিবাদে বক্তব্য রাখেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সেই ভিক্টোরিয়াতেই প্রদর্শিত নেতাজির চিঠি নিয়ে বিতর্ক।