নয়াদিল্লি: নবনির্বাচিত সাংসদদের ৪৭৫ জন ‘কোটিপতি’। এই তালিকায় সবার ওপরে রয়েছেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথের ছেলে তথা কংগ্রেস সাংসদ নকুল নাথ। অ্যাসোসিয়েসন অফ ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস (এডিআর) এ কথা জানিয়েছে।


৫৩৯ জন নতুন সাংসদদের সম্পত্তি ও ঋণ সংক্রান্ত হলফনামা খতিয়ে দেখে এই তথ্য জানতে পেরেছে এডিআর। ৫৪২ জন সাংসদের মধ্যে বিজেপির দুই এবং কংগ্রেসের একজন-মোট তিনজন সাংসদের হলফনামা হাতে পায়নি এডিআর। সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ৩০৩ এবং কংগ্রেস ৫২ আসনে জয়ী হয়েছে।

লোকসভার ৫৪৩ আসনের মধ্যে ৫৪২ টিতে ভোটগ্রহণ করা হয়েছিল। অর্থশক্তির অপব্যবহারের কারণ দেখিয়ে নির্বাচন কমিশন ভেলোর লোকসভা আসনের নির্বাচন বাতিল করে। ওই আসনে নতুন করে নির্বাচনের দিন  পরে ঘোষণা করা হবে। ৫৪৫ সদস্য বিশিষ্ট লোকসভার বাকি দুই সদস্য মনোনীত।

বিজেপির যে নতুন ৩০১ সাংসদের হলফনামা খতিয়ে দেখা হয়েছে তাঁদের মধ্যে ২৬৫ জন (৮৮ শতাংশ) ‘কোটিপতি’। অন্যদিকে, বিজেপির জোটসঙ্গী শিবসেনার ১৮ জন বিজয়ী সাংসদের সম্পদের পরিমাণ ১ কোটি টাকার বেশি।

কংগ্রেসের ৫১ সাংসদের মধ্যে ৪৩ জন (৯৬ শতাংশ) ‘কোটিপতি’।

একইভাবে ডিএমকে-র ২৩ জন নতুন সাংসদের মধ্যে ২২ জন (৯৬ শতাংশ), তৃণমূল কংগ্রেসের ২২ জন সাংসদের মধ্যে ২০ জন (৯১ শতাংশ) এবং ওয়াইএসআর কংগ্রেসের ২২ সাংসদের মধ্যে ১৯ জনই কোটিপতি।

এডিআর জানিয়েছে, এই তালিকায় প্রথম তিনটি স্থানে রয়েছেন তিন কংগ্রেস সাংসদ। মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়াড়া থেকে জয়ী নকুল নাথের ঘোষিত সম্পদের পরিমাণ ৬৬০ কোটি টাকা। দ্বিতীয় স্থানে তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারী থেকে জয়ী বসন্তকুমার এইচ (৪১৭ কোটি টাকা, তৃতীয় স্থানে বেঙ্গালুরু গ্রামীন আসন থেকে জয়ী ডি কে সুরেশ (৩৩৮ কোটি টাকা)।

লোকসভা নির্বাচনে জয়ীদের গড় সম্পদের পরিমাণ ২০.৯৩ শতাংশ। নতুন লোকসভার ২৬৬ জনের সম্পদের পরিমাণ ৫ কোটি টাকা বা তার বেশি।

২০০৯-এ লোকসভা নির্বাচনে জয়ী সাংসদের মধ্যে ৩১৫ জন (৫৮ শতাংশ) এবং ২০১৪-তে ৪৪৩ জন (৮২ শতাংশ) ছিলেন কোটিপতি।

এডিআর জানিয়েছে,  নবনির্বাচিত সাংসদদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ রয়েছে। ২০১৪-র লোকসভার তুলনায় তা ২৬ শতাংশ বেশি।