কলকাতা: উত্তর ২৪ পরগনার নিমতায় বিবিএ ছাত্র দেবাঞ্জন দাস খুনে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত প্রিন্স সিংহ। এর আগে প্রিন্সের ঘনিষ্ঠ বন্ধু বিশাল মারুকে গ্রেফতার করা হয়। বিশালকে জেরা করেই প্রিন্সের বিষয়ে তথ্য মেলে বলে পুলি সূত্রে খবর।
ত্রিকোণ প্রেমের টানাপোড়েনেই কি খুন হতে হল বছর একুশের দেবাঞ্জন দাসকে? নিমতাকাণ্ডের তদন্তে এই তত্ত্বই ক্রমশ জোরাল হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে দাবি।
এর মধ্যে শনিবার গ্রেফতার করা হয় খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত প্রিন্সকে।যিনি মৃত দেবাঞ্জনের বান্ধবীর প্রাক্তন প্রেমিক।
এর আগে শুক্রবার রাতে দমদমের মল রোডের বাসিন্দা ২০ বছরের বিশাল মারুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যিনি মূল অভিযুক্ত প্রিন্সের ঘনিষ্ঠ বন্ধু।


পুলিশ সূত্রে দাবি, খুনের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন বিশাল।জেরায় তিনি সেকথা স্বীকার করেছেন বলে পুলিশ সূত্রে দাবি।
শুধু তাই নয়। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, নবমীর দিন দুপুরে বিশালকে ফোন করে প্রিন্স বলেন, বিশালের স্কুটার গভীর রাতে তাঁর লাগবে।
সেইমতো নবমীর রাতে প্রিন্সকে স্কুটারটি দিয়ে দেন বিশাল। এই প্রেক্ষিতে প্রশ্ন উঠছে,তাহলে কি নবমীর দুপুরেই দেবাঞ্জনকে খুনের ছক করা হয়ে গিয়েছিল? খুনের পরিকল্পনায় কি শরিক ছিলেন প্রিন্সের সঙ্গী বিশাল?
যদিও বিশালের মায়ের দাবি, তাঁর ছেলে খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়।

ধৃত বিশালের বিরুদ্ধে খুন,তথ্যপ্রমাণ লোপাট,
অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র এবং অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।

দেবাঞ্জনের ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী তাঁর শরীরে দুটি বুলেটের ক্ষতচিহ্ন মিলেছে।
পুলিশ মনে করছে, পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুন করা হয় দেবাঞ্জনকে।
নবমীর গভীর রাতে বিরাটি স্কুল রোডের ধারে দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় দেবাঞ্জনের মৃতদেহ। এদিন সেখানে যান ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা।
তদন্তকারীদের অনুমান, ঘটনার দিন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারান দেবাঞ্জন।
সেই অবস্থাতেই দেবাঞ্জনের গাড়ি রাস্তার ধারের দেওয়ালে প্রায় ১০০ মিটার ঘষটে যায়।
দেবাঞ্জনের দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটি এদিন পরীক্ষা করেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, গাড়ি এবং দুর্ঘটনাস্থলে দেওয়াল থেকে পাওয়া নমুনা মিলে গিয়েছে।
সেদিন ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল? ধৃত বিশাল মারুকে জেরা করে তা-ই জানতে চাইছে পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, প্রাথমিক জেরায় জানা গিয়েছে, ধৃত বিশালের অপরাধের রেকর্ড না থাকলেও সম্প্রতি তিনি দুষ্কৃতী দলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত বিশাল মারু-সহ সমস্ত অভিযুক্তের মোবাইল ফোনের কল রেকর্ড খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিন দেবাঞ্জনের কয়েকজন বন্ধুকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।