নয়াদিল্লি: নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের অপরাধ সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ না করায় বিজেপি ও কংগ্রেস সহ নয়টি দলকে আদালত অবমাননায় দোষী সাব্যস্ত করে জরিমানা ধার্য সুপ্রিম কোর্ট। কংগ্রেস ও বিজেপি সহ অন্য পাঁচটি দলের এক লক্ষ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। অন্যদিকে, গত বছরের বিহারের নির্বাচনে আদালতের নির্দেশ না মানায় সিপিএম ও এনসিপির পাঁচ লক্ষ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্ট রাজনৈতিক দলগুলিকে ভবিষ্যতে প্রার্থীদের অপরাধ-যোগের কথা প্রকাশ করতে ও তাদের ওয়েবসাইটে তা প্রকাশ করার ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে এ ব্যাপারে একটি মোবাইল অ্যাপ তৈরির নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। ভোটাররা যাতে সহজে তথ্য পেতে পারেন, সেজন্য এই অ্যাপ তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রার্থী বাছাইয়ের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দলগুলিকে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর বিরুদ্ধে থাকা ফৌজদারি মামলার তথ্য প্রকাশ করতে হবে বলে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে। রাজনীতিকে অপরাধমুক্ত করার লক্ষ্যে এই বড়সড় পদক্ষেপের কথা জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
গত বছরের নভেম্বরে বিহারের নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে গত ফেব্রুয়ারির নির্দেশে সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল যে, প্রার্থীদের এ ধরনের বিস্তারিত তথ্য হয় বাছাই হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বা মনোনয়ন জমা দেওয়ার কমপক্ষে দুই সপ্তাহ আগে আপলোড করতে হবে। এখন বলা হয়েছে, প্রার্থী হিসেবে বাছাই হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এই তথ্য জানাতে হবে।
প্রার্থীদের অপরাধমূলক কাজকর্মের সঙ্গে যোগ সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ না করায় রাজনৈতিক দলগুলির প্রতীক খারিজের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে একটি পিটিশন দায়ের করা হয়। সেই পিটিশনের শুনানিতেই এদিন এই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের ২০২০-র ফেব্রুয়ারিতে দেওয়া নির্দেশ অমান্য করায় রাজনৈতিক দলগুলির বিরুদ্ধে আদালত অবমানননার দায়ে ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানানো হয় পিটিশনে।
সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বলা হয়েছিল যে, ফৌজদারি মামলা রয়েছে, এমন প্রার্থীদের কেন বেছে নেওয়া হয়েছে, সে ব্যাপারে ব্যাখ্যা দিতে হবে। সেইসঙ্গে ওই সংক্রান্ত মামলাগুলির বিস্তারিত তথ্য জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্ট সংবাদপত্রে প্রার্থীদের সম্পর্কে তথ্য প্রকাশ করতেও রাজনৈতিক দলগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
বিহার বিধানসভা নির্বাচনে তাদের প্রার্থীদের অপরাধ যোগ প্রকাশ করার নির্দেশ প্রকাশ না করায় সিপিএম ও এনসিপি নিঃশর্ত ক্ষমাপ্রার্থনা করেছে।