নয়াদিল্লি: ‘পলাতক’ নীরব মোদি তাদের দেশেই রয়েছে বলে জানিয়েছে ব্রিটেন। এমনটাই দাবি করেছে সিবিআই। সময় নষ্ট না করে, সাড়ে দেশের বৃহত্তম ব্যাঙ্ক প্রতারণা মামলার মূল অভিযুক্তকে প্রত্যর্পণ করার তোড়জোড় শুরু করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
সূত্রের খবর, ব্রিটিশ প্রশাসনের তরফে সেদেশে হিরে ব্যবসায়ী নীরব মোদির থাকার খবর সরকারিভাবে ঘোষণা করার পরই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দ্বারস্থ হয়েছে সিবিআই। পিএনবি-প্রতারণা মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত নীরব মোদিকে দেশে ফেরাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে প্রত্যর্পণ অনুমতি চেয়েছে সিবিআই।
নিয়ম অনুযায়ী, সিবিআই-এর এই আর্জি বিদেশমন্ত্রকের কাছে পাঠাচ্ছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। কারণ, প্রত্যর্পণ বিষয়টি বিদেশমন্ত্রকের আওতাধীন। সূত্রের খবর, ‘পলাতক’ নীরবকে দেশে ফেরাতে শীঘ্রই ব্রিটিশ সরকারের কাছে অনুরোধ করবে বিদেশমন্ত্রক।
ইতিমধ্যে, ইন্টারপোলের জারি করা রেড কর্নার নোটিস (আরসিএন)-এর ভিত্তিতে নীরবকে আটক করতে ব্রিটিশ প্রশাসনকে অনুরোধও করেছে সিবিআই। এর আগে, কেন্দ্রীয় সংস্থার আর্জিতে সাড়া দিয়ে গত জুন মাসে নীরবের বিরুদ্ধে এই নোটিস জারি করে ইন্টারপোল।
কেন্দ্রীয় সূত্রের খবর, ব্রিটেন সহ ১৯২টি সদস্য দেশকে ইন্টারপোল নির্দেশ দেয়, নীরব মোদিকে দেখামাত্র যেন আটক করা হয়, যাতে তাঁকে ভারতে প্রত্যর্পণ করা যায়। প্রসঙ্গত, সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা মূল্যের এই প্রতারণা মামলা খোলসা হওয়ার পরই দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান নীরব মোদি। পাসপোর্ট প্রত্যাহার হওয়া সত্ত্বেও বিভিন্ন উপায়ে এদেশ-সেদেশ ঘুরে পৌঁছান ব্রিটেনে।
নীরব ছাড়াও এই বিপুল অঙ্কের ব্যাঙ্ক প্রতারণা মামলায় অভিযুক্তের তালিকায় নীরব ছাড়াও নাম রয়েছে তাঁর স্ত্রী মার্কিন নাগরিক অ্যামি মোদি, ভাই নিশাল মোদি—যিনি বেলজিয়ামের নাগরিক এবং মামা মেহুল চোকসি—যিনি এই কাণ্ডের পর দেশ ছেড়ে পালিয়ে অ্যান্টিগায় নাগরিকত্ব নিয়েছেন।