শতাব্দীপ্রাচীন কংগ্রেস বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করার চেয়ে বসপা-কে ‘শেষ করে দিতে’ অনেক বেশি আগ্রহী বলে অভিযোগ করেন মায়াবতী। তিনি বলেন, কর্নাটকে আমরা আঞ্চলিক দলের সঙ্গে রফা করেছিলাম। ছত্তিশগড়েও তাই করেছি। এবার ঠিক করেছি মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থানে একলা চলব, নয়তো স্থানীয় দলের সঙ্গে জোট করব, কিন্তু কংগ্রেসের সঙ্গে কখনই নয়। বিবৃতি পড়ে শোনান তিনি।
ছত্তিশগড় বিধানসভা নির্বাচনে তাঁর দল অজিত যোগীর দলের সঙ্গে রফা করবে বলে আগেই জানিয়ে রেখেছেন মায়াবতী।
মায়াবতী বিশেষ করে ক্ষোভ উগরে দেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংহের ওপর। কেন মধ্যপ্রদেশে তাঁদের সঙ্গে বসপা-র রফা আলোচনা সফল হল না, সে ব্যাপারে
এবিপি আনন্দকে সাক্ষাত্কারে দিগ্বিজয় মায়াবতীর দিকে আঙুল তুলে বলেছিলেন, ওনাকে প্রবল চাপে ফেলেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী, বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। তাঁরা মায়াবতীর পিছনে সিবিআই, ইডি-র মতো সংস্থাকে নামিয়েছেন বলে দাবি করেন দিগ্বিজয়। বলেন, আমি তো শুনেছি, ওঁর ভাই আনন্দকেও জেরার জন্য ডাকা হয়েছে। যদিও দিগ্বিজয় সাক্ষাত্কারে এও বলেন, মায়াবতীর সঙ্গে জোটের সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এ নিয়ে কথাবার্তা চালিয়ে যাচ্ছেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, কমলনাথ। মায়াবতী আগামীদিনে কী করবেন, কেউ জানে না।
আজ পাল্টা মায়াবতী তোপ দাগেন, দিগ্বিজয় বিজেপির এজেন্ট। মায়াবতীকে কেন্দ্রের থেকে প্রবল চাপ দেওয়া হচ্ছে বলেই তিনি কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে নারাজ, এ ধরনের ভিত্তিহীন কথাবার্তা বলছেন দিগ্বিজয়ের মতো নেতারা। আসলে ওনার মতো কংগ্রেস নেতারাই জোট চাইছেন না।
কংগ্রেসের মুখপত্রে বেরনো এক সার্ভেতে বেরিয়েছে, মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের ক্ষমতায় ফেরা তখনই সম্ভব হতে পারে, যদি মায়াবতীর সঙ্গে আসনরফা হয়।