আগামী মাসে ইয়েস ব্যাঙ্ক চালাবেন আরবিআই নিযুক্ত প্রশাসক, এসবিআইয়ের প্রাক্তন মুখ্য আর্থিক বিষয়সংক্রান্ত অফিসার প্রশান্ত কুমার।
কংগ্রেস আবার ট্যুইট করেছে, ভারতীয় অর্থনীতি ইতিমধ্য়েই বিজেপির অপদার্থতায় ভেঙে পড়েছে, তা বর্তমানে আরও বড় ধাক্কা খেতে চলেছে করোনাভাইরাস ছড়ানোয়। এই ব্যাপক স্বাস্থ্যসঙ্কট মোকাবিলায় কোনও সামগ্রিক প্ল্যান কি বিজেপির আছে?
দলীয় ট্যুইটার হ্যান্ডলে মনমোহন সিংয়ের বক্তব্যও প্রকাশ করে কংগ্রেস বলেছে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, এই হল কী করে আপনাদের নিজেদেরই তৈরি বিপর্যয় রোখা যায়, নিয়ে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর কয়েকটি স্পষ্ট পরামর্শ। আসল অর্থনীতিবিদদের কথা শোনা শুরু করুন, সময় হয়েছে।
মনমোহন বলেছেন, সব শক্তি, উদ্যম সুসংহত করুন কোভিড-১৯ ঠেকাতে। নাগরিকত্ব আইন তুলে নিন বা সংশোধন করুন। দেশ থেকে পুতিগন্ধময় সামাজিক আবহাওয়া দূর করে জাতীয় ঐক্য জোরদার করুন। ভোগ্যপণ্যের চাহিদা বাড়াতে, অর্থনীতির পুনরুজ্জীবনের লক্ষ্যে সামগ্রিক, সুচারু ভাবে রচিত আর্থিক স্টিমুলাস প্ল্যান চাই।
আবার প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী চিদম্বরমের আশঙ্কা, প্রথমে পিএমসি ব্যাঙ্ক, এবার ইয়েস ব্যাঙ্কের সঙ্কট, এবার তিন নম্বর ব্যাঙ্কের পালা? তিনি ট্যুইট করেছেন, বিজেপি ৬ বছর ক্ষমতায়। এহেন সঙ্কটের জেরে বর্তমান সরকারের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা উন্মোচিত হয়েছে’! প্রথমে পিএমসি ব্যাঙ্ক, এবার ইয়েস ব্যাঙ্ক। সরকারের কি আদৌ কোনও চিন্তা আছে? সে তার দায় এড়াতে পারে কি?
গত সেপ্টেম্বর আরবিআই মুম্বইয়ের পঞ্জাব ও মহারাষ্ট্র কোঅপারেটিভ ব্য়াঙ্কের কেলেঙ্কারি ফাঁস হওয়ায় একগুচ্ছ বিধিনিষেধ জারি করে। অভিযোগ ওঠে, ওই ব্য়াঙ্ক ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে প্রায় দেউলিয়া হওয়া হাউসিং ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডকে ৬৭০০ কোটি টাকা লোন দেওয়ার বিষয়টি চেপে যায়। ওই ব্য়াঙ্কের গ্রাহকদের জন্য প্রথমে ১০০০ টাকা, তারপর ২৫ হাজার টাকা, ১ লক্ষ টাকা ও সব শেষে ৫ লক্ষ পর্যন্ত টাকা তোলার ঊর্ধ্বসীমা ঘোষণা করে আরবিআই।