গতকাল দেশের সব থেকে বড় ব্যাঙ্ক স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া সিদ্ধান্ত নেয়, ইয়েস ব্যাঙ্কের শেয়ার কেনার সম্ভাবনা তারা খতিয়ে দেখবে। এরপর শেয়ার বাজার বন্ধ হতেই আরবিআই ইয়েস ব্যাঙ্কের ওপর কড়াকড়ি চালু করে। তবে আমানতকারীদের আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই বলে আশ্বস্ত করেছে তারা। জেনে নিন এই পরিস্থিতিতে ইয়েস ব্যাঙ্কের আমানতকারীরা কী কী করতে পারেন:
- কেন্দ্র বলেছে, ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে চলা যাবতীয় ব্যবস্থা আর মামলা স্থগিত রাখা হচ্ছে, ৩ এপ্রিল পর্যন্ত এখান থেকে ৫০,০০০-এর বেশি টাকা তোলা যাবে না। পাওনাদারদেরও ৫০,০০০-এর বেশি টাকা না দিতে ইয়েস ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে তারা নির্দেশ দিয়েছে।
- অল্প কিছু ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম থাকবে, তবে তা ঠিক করবে দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এ সব ক্ষেত্রেও তোলা টাকার পরিমাণ ৫ লাখ ছাড়াবে না।
- ইয়েস ব্যাংক কোনও ঋণ দিতে বা অর্থ অগ্রিম দিতে পারবে না। পারবে না বিনিয়োগ করতেও।
- তবে ব্যাঙ্ক জানিয়ে দিয়েছে, তারা তাদের ২০,০০০-এর বেশি কর্মীর বেতন ও বাড়িভাড়া দিতে পারবে।
- তবে ইয়েস ব্যাঙ্কে স্যালারি অ্যাকাউন্ট থাকলে অন্য কোনও ক্ষেত্র থেকে অর্থ আমদানির ব্যাপারে ভাবতে হতে পারে।
- যদি ইয়েস ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ইএমআই প্রদান করেন, তবে যে ব্যাঙ্ক বা হাউজিং সংস্থার সঙ্গে আপনার লেনদেন, তাদের সঙ্গে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যোগাযোগ করুন। সমস্যার সমাধানে লিখিতভাবে আপাতত এক মাস সময় চান।