নয়াদিল্লি: দিল্লি হাইকোর্টের কঠোর বার্তা দিল্লি পুলিশকে। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে বিক্ষোভ, প্রতিবাদ ঘিরে উত্তরপূর্ব দিল্লির হিংসা, অশান্তির জন্য অনুরাগ ঠাকুর, পরবেশ সাহিব সিংহ, কপিল মিশ্র ও অন্য বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক মন্তব্যের অভিযোগে পিটিশন পেশ হয়েছে হাইকোর্টে। তাতে আবেদন করা হয়েছে, দিল্লির হিংসার বিচারবিভাগীয় তদন্ত চাই। বিজেপি নেতারা প্ররোচনামূলক কথাবার্তা বলেছেন এবং তা থেকেই উত্তেজনা, সংঘর্ষ, মারমুখী জনতার হামলা ছড়িয়েছে। তাই তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হোক।
এর পরিপ্রেক্ষিতে দিল্লির পুলিশ কমিশনার অমূল্য পট্টনায়েককে নোটিস দিয়ে বিচারপতি মুরলিধর,বিচারপতি তালবন্ত সিংহের বেঞ্চ শুনানির সময় কোনও শীর্ষ পুলিশ অফিসারকে হাজির থাকতে বলেছে।
বেঞ্চ বলেছে, পুলিশকে আদালতের অপেক্ষায় বসে থাকলে চলবে না, নিজে থেকে পদক্ষেপ করতে হবে। বেলা সাড়ে ১২টার মধ্যে উত্তরপূর্ব দিল্লির গন্ডগোলে প্ররোচনা দেওয়ায় যুক্ত লোকজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদনের ব্যাপারে দিল্লি পুলিশের বক্তব্য জানতে চেয়েছে হাইকোর্টের বেঞ্চ।
এদিন পিটিশনটি তালিকাভুক্ত হয়েছিল দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি এন পটেলের বেঞ্চে। কিন্তু সেই বেঞ্চ ছুটিতে থাকায় সিনিয়র আইনজীবী কলিন গনজালভেস দ্রুত শুনানির জন্য সেটি তোলেন বিচারপতি মুরলিধরের এজলাসে।

সব প্রতিবাদস্থলের লোকজন, বিশেষত মহিলা ও শিশুদের নিরাপত্তা, সুরক্ষা সুনিশ্চিত করার আবেদন জানিয়ে পিটিশনটি দিয়েছেন সমাজকর্মী হর্ষ মান্দার ও ফারাহ নকভি। তাঁরা হাইকোর্টকে বলেন, দিল্লি পুলিশের প্রতিবাদীদের স্বাধীন মতামত প্রকাশে বাধাদানের অধিকার নেই। কারণ তাঁরা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে নেমেছেন।