বুলন্দশহর (উত্তরপ্রদেশ): গত মাসে বুলন্দশহরের সিয়ানা তহসিলে গোহত্যার অভিযোগে অশান্তি হয়েছিল। ৩ ডিসেম্বর সিয়ানার মহাও গ্রামের বাইরে মাঠে গরুর দেহাবশেষ উদ্ধার হতেই উত্তেজনা মাথাচাড়া দেয়। স্থানীয় চিঙ্গরাওয়াথি থানা আক্রমণ করে মারমুখী জনতা। হিংসা থামাতে গিয়ে গুলিতে জখম হন ৪৪ বছর বয়সি পুলিশ ইনস্পেক্টর সুবোধ কুমার সিংহ, সুমিত কুমার নামে ২০ বছরের এলাকার এক যুবক। পরে মারা যান দুজনেই। প্রশাসনিক কর্তারা জানিয়েছেন, গোহত্যার অভিযোগে যে সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, এবার তাঁদের বিরুদ্ধে জাতীয় সুরক্ষা আইন প্রয়োগ করা হল। এ ব্যাপারে কঠোর এনআইএ ধারা তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করার খবর সত্যি বলে নিশ্চিত করেছেন জেলাশাসক অনুজ ঝা।
প্রসঙ্গত, বুলন্দশহরের হিংসার ব্যাপারে সিয়ানা থানায় দুটি পৃথক এফআইআর দায়ের করা হয়। একটি হয় গোহত্যার ঘটনায়, অপরটি তার জেরে ঘটে যাওয়া হিংসার জন্য, যাতে ৮০ জনের নাম রয়েছে। এদের মধ্যে ২৭ জনের নাম করা হয়েছে, বাকিরা অজ্ঞাতপরিচয় লোকজন।
এদিকে বুলন্দশহরের অশান্তি, হিংসায় মূল অভিযুক্ত বজরং দলের যোগেশ রাজের ছবি দেওয়া হোর্ডিং ছড়িয়ে পড়েছে মিরাটের নানা জায়গায়। সেদিনের হিংসায় যু্ক্ত থাকার অভিযোগে ৩ জানুয়ারি গ্রেফতার করা হয়েছে যোগেশকে। তিনি বাদে হোর্ডিংগুলিতে আছে সতীশ লোধি, আশিস চৌহান, সতেন্দ্র রাজপুত, বিশাল ত্যাগীর ছবিও, যাঁরা সকলেই অশান্তির মামলায় অভিযুক্ত। হোর্ডিংয়ে তাঁরা বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বজরং দলের পক্ষে জনতাকে মকর সংক্রান্ত, সাধারণতন্ত্র দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। বজরং দলের দাবি, স্থানীয় নেতারা নিজেদের উদ্যোগে ওই হোর্ডিং দিয়েছেন। সংগঠনের স্থানীয় নেতা প্রবীন ভাটির দাবি, তাঁদের স্থানীয় নেতাদের ছবি রয়েছে, যেহেতু যোগেশ বুলন্দশহর শাখার আহ্বায়ক, তাই তাঁর ছবিও আছে। তাছাড়া ওঁরা সবাই অভিযুক্ত, দোষী ঘোষিত নন। আদালত ঠিক করবে। সংগঠনের কর্তাব্যক্তিদের ছবি দিয়ে হোর্ডিং লাগানো অপরাধ নয়।