কলকাতা: রফতানির দরজায় ভারত খিল আঁটার পর থেকেই বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম আগুন। এক লাফে প্রায় ৫০ শতাংশ দাম বেড়েছে পেঁয়াজের।


প্রতিবেশী রাষ্ট্রের শিল্পমহলের তরফে সংবাদসংস্থাকে জানানো হয়েছে, এ বছর অতিবৃষ্টিতে পেঁয়াজের ফলন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় রফতানি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। সোমবার থেকেই এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে। এর জেরে এ দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে ঠিকই, কিন্তু আকাল সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশের বাজারে। প্রতিবেশী দেশে লাফিয়ে বেড়েছে পেঁয়াজের দর। একই কারণে মালয়েশিয়া, নেপাল, শ্রীলঙ্কাতেও বেড়েছে দাম। কারণ এই দেশগুলিও পেঁয়াজের জন্য ভারতের উপরই ভরসা করে।

একে করোনা-শঙ্কা, তার উপর দীর্ঘ লকডাউনের জেরে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে বহু মানুষের। বাংলাদেশের এক কাপড় ব্যবসায়ীর অসহায় গলায় প্রশ্ন, এবার আর কী খেয়ে বাঁচব বলুন! ব্যবসা বন্ধ,কাজ গেছে অনেকের। এই পরিস্থিতিতে সবজির বাজারে মূল্যবৃদ্ধি যেন গোদের উপর বিষফোঁড়া।

এ মাসের গোড়ায় ঢাকার বাজারে পেঁয়াজ ছিল ৩০ টাকা কেজি। মাসের মাঝখানে সেই দামই গিয়ে পৌঁছেছে ১০০ টাকা প্রতি কেজিতে। সঈফুল ইসলাম নামে এক পাইকারী বিক্রেতার প্রশ্ন, যে পেঁয়াজভর্তি ট্রাকগুলো সীমান্তে এসে দাঁড়িয়ে সেগুলির কী গতি হবে?

ভারত থেকে প্রতি বছর মোটামুটি সাড়ে তিন লক্ষ টন পেঁয়াজ রফতানি হয় বাংলাদেশেই। ভারত রফতানি বন্ধ করার ফলে তুরষ্ক ও অন্যান্য দেশ থেকে পেঁয়াজ আনানোর কথা ভাবছে সে দেশের সরকার। ২০১৯ এও ভারত একবার পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করেছিল। সেই সময় ঢাকার বাজারে সর্বোচ্চ ২৫০ টাকা কেজি দরেও বিক্রি হয়েছে পেঁয়াজ। এবারও কি তবে সেই দিকেই এগোচ্ছে বাংলাদেশ?