হোটেল ও রেস্তোঁরার ক্ষেত্রে নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, করোনা সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। কনটেনমেন্ট জোনে কোনও হোটেল খুলবে না। কনটেনমেন্ট জোনের বাইরে হোটেল খুলবে। রেস্তোরাঁয় শুধু উপসর্গহীন কর্মী ও অতিথিদের ঢোকার অনুমতি দিতে হবে। ব্যাগ হোটেলের ঘরে পাঠানোর আগে করতে হবে জীবাণুমুক্ত। হোটেলের ঘরে রুম সার্ভিসেও রাখতে হবে সামাজিক দূরত্ব। রেস্তোঁরায় স্যানিটাইজার রাখতে হবে এবং প্রত্যেকের থার্মাল স্ক্রিনিং করতে হবে। প্রত্যেককে মাস্ক পরে থাকতে হবে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। থুতু ফেলা যাবে না। রেস্তোরাঁর কর্মীদের গ্লাভস পরে থাকতে হবে। রেস্তোরাঁয় একসঙ্গে ৫০শতাংশের বেশি গ্রাহক নয়। সরাসরি গ্রাহকের হাতে দেওয়া যাবে না খাবারের প্যাকেট। হোম ডেলিভারির আগে রেস্তোরাঁর কর্মীদের থার্মাল চেকিং করতে হবে।
কর্মক্ষেত্রে নিয়ে কেন্দ্রের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সব জায়গা জীবাণুমুক্ত করতে হবে, কর্মীদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে, মাস্ক, গ্লাভস পরে থাকতে হবে। ঘন ঘন হাত ধুতে হবে বা স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। কর্মক্ষেত্রে থুতু ফেলা যাবে না। সব কর্মীর ফোনে আরোগ্য সেতু অ্যাপ থাকা বাধ্যতামূলক। কর্মক্ষেত্রে থার্মাল স্ক্রিনিং করতে হবে। অন্ত:সত্ত্বা ও বয়স্কদের বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কর্মীদের বসার জায়গায় একে অপরের মধ্যে এক মিটার দূরত্ব রাখতে হবে।
ধর্মীয় স্থানের ক্ষেত্রে নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কনটেনমেন্ট জোনে খোলা যাবে না কোনও ধর্মীয় স্থান। কনটেনমেন্ট জোনের বাইরে ধর্মীয় স্থান খোলা যাবে। প্রত্যেককে মাস্ক পরে থাকতে হবে, একে অপরের মধ্যে ৬ ফুট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে, থুতু ফেলা যাবে না, ফোনে আরোগ্য সেতু অ্যাপ রাখতে হবে। এছাড়া বলা হয়েছে, ধর্মীয় স্থানে প্রবেশের দরজায় থার্মাল স্ক্রিনিং ও স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে, প্রার্থনা করার জন্য বাড়ি থেকে নিজস্ব মাদুর বা কাপড় আনতে হবে, কারও সঙ্গে করমর্দন বা আলিঙ্গন করা চলবে না।