তিনি আরও বলেছেন, তদন্ত চলছে তিন সন্দেহভাজনকে নিশানা করে। ঘটনার যৌথ তদন্ত করবে পুলিশ, বন দপ্তর। জেলার পুলিশ প্রধান ও বনকর্তা আজ ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। অপরাধীদের বিচার করে শাস্তি দিতে যা যা করা সম্ভব, সব করা হবে। আমরা মানুষ ও বন্য জীবনের মধ্যে দ্বন্দ্ব-সংঘাতের পিছনের কারণগুলি মোকাবিলার চেষ্টাও করব। জলবায়ু বদল স্থানীয় মানুষজন, জন্তু-জানোয়ার-উভয়ের ওপরই ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। তবে আমরা এটা দেখে দুঃখ পেয়েছি, কেউ কেউ এই ট্র্যাজেডিকে হাতিয়ার করে ঘৃণা, বিদ্বেষ ছড়াচ্ছেন। সত্যকে মুছে দিতে ভ্রান্ত, বেঠিক বর্ণনা, অর্ধসত্য়ের ওপর তৈরি মিথ্যাকে কাজে লাগানো হয়েছে। কেউ কেউ তো আবার ঘটনার সঙ্গে ধর্মান্ধতার তত্ত্ব আমদানির চেষ্টা করেছেন। ভুলে ভরা অগ্রাধিকার। বিজয়ন আরও বলেছেন, কেরল এমন এক সমাজ যেখানে অন্যায়, অবিচারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ, প্রতিবাদকে সম্মান করা হয়। যদি কোথাও কোনও আশার রেখা থেকে থাকে, তবে তা এটাই যে, আমরা জানি, অবিচারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে হবে। আমাদের সেই মানুষ হয়ে উঠতে হবে, যারা যখন, যেখানে হোক, সব ধরনের অবিচার, বৈষম্যের সঙ্গে লড়াই করে।
গত ২৭ মে বাজিভরা আনারস খাওয়ার পর হাতিটির মুখের ভিতরে বিস্ফোরণ হয়। বন দপ্তরের কর্মীরা জানিয়েছেন, মুখের ভিতরটা মারাত্মক জখম হয় তার। ভেলিয়ার নদীতে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তার মুখ ও শুঁড় জলে ডুবিয়ে যন্ত্রণা কিছুটা কমানোর চেষ্টা করেছিল সে। কেরলের মতো সাক্ষরতা, শিক্ষা, চেতনায় উন্নত রাজ্যে এমন অমানবিক, নৃশংস আচরণে বিস্মিত নানা মহল।