নয়াদিল্লি: তৃণমূলের উপর হামলার অভিযোগের ঘটনায় তুলকালাম বিজেপি শাসিত ত্রিপুরায়। জাতীয় রাজনীতির আঙিনায় সেই ঘটনা তুলে ধরতে সোমবার সংসদ ভবনে গাঁধী মূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ দেখাবে তৃণমূল কংগ্রেস। এই প্রেক্ষাপটে মোদি সরকার বিরোধী ঐক্য গড়ে তুলতে আরও সক্রিয় হল তৃণমূল। তার অঙ্গ হিসেবেই রবিবার নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডলে রাজ্যসভার বিরোধী নেতাদের মোদি সরকার বিরোধী বক্তব্য নিয়ে একটি ভিডিও পোস্ট করেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। এই ভিডিওয় প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে ডেরেকের আর্জি, ‘আমাদের কথা শুনতে আসুন মোদি।’
এই ভিডিওতে রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের মল্লিকার্জুন খাড়গে, সমাজবাদী পার্টির রামগোপাল যাদব, শিবসেনার প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদী, সিপিএমের ঝর্ণা দাস বৈদ্য, আরজেডির মনোজ কুমার ঝা-সহ একাধিক বিরোধী নেতার বক্তব্য তুলে ধরা হয়। ডেরেকের ভিডিও রিট্যুইট করেন রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে। এরই সঙ্গে তিনি লেখেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে নার্ভাস লাগছে। কেন তিনি সংসদে প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন না? বিরোধী দলগুলি আলোচনা চায়, মানুষ যাত সত্যিটা না জানতে পারে, তার জন্য বিজেপি আলোচনা করতে দিচ্ছে না।’
তৃণমূল-সহ বিরোধীদের পাল্টা আক্রমণের পথে হেঁটেছে বিজেপি। সোমবার থেকে সংসদে শুরু হচ্ছে বাদল অধিবেশনের শেষ সপ্তাহ। তার আগে রণকৌশল ঠিক করতে সোমবার সকাল ১০টায় রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গের অফিসে বৈঠকে বসছে বিরোধী দলগুলি।
ত্রিপুরার আইনশৃঙ্খলার অবনতির প্রশ্নে শুরু হয়েছে তৃণমূল-বিজেপির ‘টাগ অফ ওয়ার’। বিজেপি শাসিত ত্রিপুরায় আইনের শাসন নেই বলে আক্রমণ শানিয়েছে তৃণমূল। আবার গেরুয়া শিবিরের দাবি, ইচ্ছেকৃতভাবে শান্ত ত্রিপুরাকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে তৃণমূল।
রবিবারও দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায় ত্রিপুরার খোয়াইয়ে> তৃণমূল নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে থানায় পৌঁছে যান খোদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলিশের সঙ্গে তৃণমূল নেতৃত্বের দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে বচসা। থানার বাইরে চলল বিক্ষোভ প্রদর্শন, কালো পতাকা, গো ব্যাক স্লোগান। আদালত চত্বরে তৃণমূল নেতার ওপর হামলার অভিযোগও উঠল। এই প্রেক্ষাপটে এবার ত্রিপুরা ইস্যুকে জাতীয় স্তরে তুলে ধরে বিজেপির বিরুদ্ধএ চাপ বাড়ানোর কৌশল নিল তৃণমূল কংগ্রেস।