যাঁরা এভাবে বাংলাদেশে আটকে পড়ে আছেন, তাঁদের কারও বাবা-মা অসুস্থ, কেউ বা নিজেই অসুস্থ। কিন্তু চিকিৎসা করানো সম্ভব হচ্ছে না। ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে। মাসের পর মাস আত্মীয়দের বাড়িতে পড়ে থাকার বিড়ম্বনাও কম নয়। তার উপর টাকা ফুরিয়ে আসছে। এই পরিস্থিতিতে তাঁরা কী করবেন বুঝতে পারছেন না। তাঁদের অভিযোগ, ঢাকার ভারতীয় দূতাবাস কোনওরকম সাহায্য করছে না।
কারও সাহায্য না পেয়ে বাংলাদেশে আটকে থাকা পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দারা এখন তাকিয়ে ঘাটালের সাংসদ দেবের দিকে। এর আগে লকডাউনের মধ্যেই নেপাল, রাশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে আটকে থাকা ভারতীয়দের দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করেছেন এই জনপ্রিয় অভিনেতা। তিনি রুপোলি পর্দার মতোই বাস্তবেও নায়কোচিত আচরণ করছেন। সেই কারণেই তাঁর সাহায্যের প্রত্যাশায় বাংলাদেশে আটকে থাকা ব্যক্তিরা। এবিপি আনন্দকে দেব জানিয়েছেন, ‘আমি চেষ্টা করছি।’
বাংলাদেশের অভিনেত্রী শান্তা পালও তাঁর দেশে আটকে থাকা ভারতীয়দের বাড়ি ফেরানোর চেষ্টা করছেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘দু’দেশের সরকারের কাছেই আমার আবেদন, এই মানুষগুলিকে দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হোক। আমি এ বিষয়ে অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। দেশের বাইরে এভাবে এতদিন ধরে আটকে থাকা সত্যিই সমস্যার। দুই বাংলার শিল্পীরা মিলে যদি কোনওভাবে তাঁদের পাশে দাঁড়ানো সম্ভব হয়, তাহলে ভাল হবে।
শিলিগুড়ির কৌশিক দাস, পার্থ পালচৌধুরী, বেলঘড়িয়ার সৌমী দাস, দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরের লাভলি ঘোষ, হুগলির শ্রীকান্ত বসাক, বিভাস চন্দ্র কোলে, জয়দেব দে, পুরঞ্জয় বড়াল, জলপাইগুড়ির শিমূল চন্দ্র সরকার, উত্তর ২৪ পরগনার গৌরী শিকদার, মুস্তাক মন্ডল, মালদার সুজন কর্মকার, হাওড়ার বালির প্রান্ত দাশগুপ্ত, কলকাতার রাজা মল্লিক, মুর্শিদাবাদের রবিউল আলম, মহম্মদ মোবারক সহ আড়াই হাজারেরও বেশি ভারতীয় আটকে আছেন ঢাকা, বরিশাল সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায়।
সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গ সরকার এ বিষয়ে ভাবনা-চিন্তা করছে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে কীভাবে বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দাদের দেশে ফেরানো যায়, সে বিষয়ে আলোচনা চলছে। বাংলাদেশ থেকে ট্রেনে করে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দাদের ফেরানো যায় কি না, সেটাও বিবেচনা করছে কেন্দ্র।