ওয়েইসির দল সাম্প্রদায়িক বিভেদ ছড়াচ্ছে বলে সোমবার অভিযোগ তুলে রাজ্যের সংখ্যালঘুদের এই ‘উগ্রপন্থা’র বিরুদ্ধে সাবধান থাকার পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী। সরাসরি ওয়েইসির নাম না করে তিনি ‘যারা হায়দরাবাদ থেকে এসেছে’ বলে উল্লেখ করেন, যা থেকে স্পষ্ট ইঙ্গিত, তিনি তাঁকেই বোঝাতে চেয়েছেন। রাজ্যের সীমান্তবর্তী এই জেলায় বাংলাদেশ থেকে বেআইনি অনুপ্রবেশ একটা বড় ইস্যু। সেখানে দাঁড়িয়েই মমতা সংখ্যালঘুদের বার্তা দেন, তাঁরা যেন ‘এই ধরনের শক্তিগুলিকে ভরসা না করেন’। পাশাপাশি অবশ্য ‘হিন্দু সাম্প্রদায়িক শক্তি’র বিরুদ্ধেও ভোটারদের সাবধান করেন তিনি।
ওয়েইসি পাল্টা ট্যুইট করেছেন, বাংলার মুসলিমদের হাল যে কোনও সংখ্যালঘু সমাজের তুলনায় মানব উন্নয়ন সূচকের মাপকাঠিতে সবচেয়ে খারাপ, এটা বলা মোটেই ধর্মীয় কট্টরপন্থা, অসহিষ্ণুতা নয়।
পাশাপাশি তিনি আরও লেখেন, দিদি আমাদের মতো হায়দরাবাদের কিছু লোককে নিয়ে এতই উদ্বিগ্ন হয়ে থাকলে তাঁর বলা উচিত, কী করে বিজেপি বাংলায় ৪২টার মধ্যে ১৮টা আসন জিতল!
ওয়েইসি মমতার উদ্দেশ্যে বলেছেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে আপনি বাংলার মুসলিমদের এই বার্তাই দিলেন যে, ওয়েইসির পার্টি রাজ্যে সমীহ করার মতো শক্তি হয়ে উঠেছে। এই জাতীয় মন্তব্য করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের ভীত, হতাশাকেই তুলে ধরলেন।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বিহারে বিধানসভা উপনির্বাচনে কিষাণগঞ্জ কেন্দ্রটি জিতে রাজনৈতিক মহলকে চমকে দিয়েছে ওয়েইসির দল। তারা কি দেশের পূর্ব প্রান্তে ক্রমশ ডালপালা মেলছে, সেই জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে।