লন্ডন: সারা বিশ্বজুড়ে চলছে করোনাভাইরাসের দাপট। এই ভাইরাসের সংক্রমণের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনও চিকিত্সা পদ্ধতি নেই। এই অবস্থায় ভ্যাকসিন তৈরির জোর চেষ্টা চলছে। এই প্রচেষ্টার ক্ষেত্রেই বড়সড় খবর পাওয়া গেল ব্রিটেন থেকে। করোনা ভ্যাকসিন পরীক্ষার ফল আশাব্যঞ্জক হয়েছে বলে মনে করছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ভ্যাকসিন তৈরির চেষ্টা করছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। আর এই কাজে প্রাথমিক পরীক্ষার ফলাফল আশা জাগিয়েছে গবেষকদের মধ্যে। তাঁরা ছয়টি বাঁদরের একটি দলের ওপর ভ্যাকসিনের প্রয়োগ আশাপ্রদ হয়েছে বলে মনে করছেন।       ব্রিটিশ ও মার্কিন গবেষকদের কাছ থেকে পাওয়া খবর মোতাবেক, এখন এই ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ মানব শরীরে চলছে।
রিপোর্টে জানা গিয়েছে যে, করোনাভাইরাস সংক্রমিত করার আগে বাঁদরগুলির শরীরে টিকা প্রয়োগ করা হয়। এরপর দেখা গিয়েছে যে, ১৪ দিনের মধ্যে কয়েকটি বাঁদরের শরীরে তৈরি হয়েছে অ্যান্টিবডি। বাকিদের ক্ষেত্রে অ্যান্টিবডি তৈরি হতে ২৮ দিন মতো সময় লেগেছে। প্রাথমিক এই গবেষণায় অন্য বিজ্ঞানীদের পর্যালোচনার পর এক্ষেত্রে সিলমোহর দানের কাজ এখনও হয়নি।


ব্রিদিশ ওষুধ কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনিকা গতমাসে অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন গ্রুপ ও জেনার ইন্সস্টিটিউটের গবেষকদের সমন্বয়সাধনের ঘোষণা করেছিল। গবেষকদের দল কোভিড-১৯ সংক্রমণজনিত রোগ প্রতিরোধে ভ্যাকসিন তৈরির চেষ্টায় নিযুক্ত হয়েছেন। লন্ডন স্কুল অফ  হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিনের অধ্যাপক ডক্টর স্টিফেন ইভান্স বলেছেন, বাঁদরের ওপর পরীক্ষার ফল সামনে এসেছে। নিশ্চিতভাবেই এটা একটা ভালো খবর।
গবেষকরা জানিয়েছেন, এক হাজার মানুষের শরীরে স্বেচ্ছামূলকভাবে টিকা প্রয়োগ করা হয়েছে। এর থেকে আগামী মাসে স্পষ্ট কিছু ফলাফল পাওয়া যাবে বলে আশা।

উল্লেখ্য, যে কোনও টিকা তৈরির ক্ষেত্রে প্রথম পর্যায়ে বাঁদরের ওপর পরীক্ষামূলক প্রয়োগ জরুরি। বিজ্ঞানীদের বক্তব্য অনুযায়ী, অনেক ক্ষেত্রেই গবেষণাগারে বাঁদরদের রক্ষা করা যায়। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, মানব শরীরেও এর প্রয়োগ নিশ্চিতভাবেই সফল হবে।