লন্ডন:  চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা ভাইরাসকে হারানোর একমাত্র উপায়, প্রতিষেধক আবিষ্কার। সেই আবিষ্কারের সন্ধানে ছুটে চলেছেন সারা বিশ্বের বিজ্ঞানীরা। কয়েকটি দেশে ‘ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল’ও শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সবার চেয়ে কয়েক কদম এগিয়ে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা।


শুক্রবার অক্সফোর্ডের গবেষকরা জানিয়ে দিলেন, তাঁরা গবেষণার দ্বিতীয় পর্যায়ে পৌঁছেছেন। এবার ১০ হাজার মানুষের শরীরে তাঁদের আবিষ্কৃত প্রতিষেধক প্রয়োগ করে দেখবেন বিজ্ঞানীরা।

গত মাসে ১০০০ প্রাপ্তবয়স্কের ওপর এই প্রতিষেধক পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করে দেখা হয়েছিল। এঁদের প্রত্যেকের বয়স ৫৫ বছর বা তার নীচে। দ্বিতীয় পর্বে ১০২০০ জনের ওপর এই প্রতিষেধক পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা হবে। এঁরা কেউ সত্তরোর্ধ্ব, কেউ আবার ৫ থেকে ১২ বছর বয়সী। সম্প্রতি এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, চ্যাডক্স ওয়ান এনকোভ-১৯ নামক এই প্রতিষেধকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গিয়েছে।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত জেনার ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক তথা এই গবেষণার প্রধান সারা গিলবার্ট বলেছেন, ‘কোভিড ১৯ প্রতিষেধক তৈরির দল কঠোর পরিশ্রম করছে। ওষুধটি নিরাপদ কি না সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ৫৫ বছরের বেশি বয়সী, যাঁদের আমরা পরীক্ষা পর্বের বাইরে রেখেছিলাম, তাঁদের অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করেছেন এবং তাঁদের শরীরে পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। আমরা এখন বিভিন্ন বয়সভিত্তিক লোকজনের শরীরের ওপর প্রতিষেধক পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করে দেখছি।’

পরীক্ষা সফল হলে আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে অন্তত দশ লক্ষ প্রতিষেধক তৈরি করতে চান গবেষকেরা।