ট্রেন্ট ব্রিজ: পাকিস্তান ফের প্রমাণ করল, কেন তাদের নিয়ে কোনও পূর্বাভাস করা চলে না। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে লজ্জার আত্মসমর্পণের পরের ম্যাচেই জয়ের রাস্তায় ফিরল পাকিস্তান। এবং ১৪ রানে হারিয়ে দিল টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেভারিট ইংল্যান্ডকে।


ট্রেন্ট ব্রিজের ম্যাচে বারবার উত্থান-পতন হয়েছে। পাকিস্তান প্রথমে ব্যাট করে তোলে ৩৪৮/৮। তাদের সর্বোচ্চ স্কোরার মহম্মদ হাফিজ। ৬২ বলে ৮৪ রান করেন তিনি। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দেন বাবর আজম (৬৬ বলে ৬৩ রান), সরফরাজ আমেদ (৪৪ বলে ৫৫ রান) ও ইমাম-উল-হক (৫৮ বলে ৪৪ রান)। আগের ম্যাচে পাক ব্যাটিংয়ে বিপর্যয় হয়েছিল। সোমবার ইংল্যান্ডের বোলিং আক্রমণের বিরুদ্ধে অবশ্য ঘুরে দাঁড়ায় পাকিস্তান। ইংরেজ বোলারদের মধ্যে মঈন আলি ও ক্রিস ওকস তিনটি করে উইকেট নেন। দুটি উইকেট মার্ক উডের।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুর দিকে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে ইংল্যান্ড। তবে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন জো রুট ও জস বাটলার। দুজনই সেঞ্চুরি করেন। রুট করেন ১০৪ বলে ১০৭ রান। বাটলারের অবদান ৭৬ বলে ১০৩ রান। ঠিক যখন মনে হচ্ছিল, ম্যাচের রাশ ইংল্যান্ডের হাতে, তখনই প্রত্যাঘাত পাক বোলারদের। রুটকে তুলে নেন শাদাব খান। বাটলারকে ফেরান মহম্মদ আমির। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ইংল্যান্ড আটকে যায় ৩৩৪/৯ স্কোরে।

ম্যাচের সেরা হাফিজ বলেছেন, 'আমরা প্রত্যেকে বিশ্বাস করতাম যে, আমরাও পারি। আমরা খুব খুশি। সকলে নিজের নিজের দায়িত্ব পালন করেছে। আমরা খুব আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। একটা জয় শুধু দরকার ছিল। দলগত প্রচেষ্টায় এই জয়। আমি নিজের স্বাভাবিক শটগুলো খেলার চেষ্টা করেছিলাম। মাঝে-মধ্যে হিসেব কষে ঝুঁকি নিতে হয়। আজ সেগুলো ফলপ্রসূ হয়েছে।' ইংল্যান্ডের অধিনায়ক অইন মর্গ্যান বলেছেন, 'খুব ভাল ম্যাচ হল। খারাপ লাগছে হেরেছি বলে। জো এবং জস ৪০ ওভার পর্যন্ত আমাদের ম্যাচে রেখেছিল। আমাদের ফিল্ডিং ডুবিয়েছে। দুই দলের মধ্যে তফাত গড়ে দিয়েছে। ফিল্ডিংয়ে ১৫-২০ রান গলিয়েছি আমরা।'