নয়াদিল্লি: ভারতীয় গুপ্তচর (Indian spy) সন্দেহে পাকিস্তানে ধৃত কুলভূষণ যাদবের (Kulbhushan Jadhav) মামলায় নতুন মোড়। ইসলামাবাদ হাইকোর্ট (Islamabad High Court) জানিয়েছে, কুলভূষণের ন্যায্য বিচার পাওয়ার অধিকার আছে। তিনি মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে আবেদন জানানোর সুযোগ পাবেন। ভারতকে ১৩ এপ্রিলের মধ্যে কুলভূষণের জন্য আইনজীবী নিয়োগ করতে হবে।


পাকিস্তানের একটি সংবাদমাধ্য়মে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ইসলামাবাদ হাইকোর্ট বলেছে, ‘দোষী সাব্যস্ত হওয়া ভারতীয় গুপ্তচর কুলভূষণ যাদব একজন মানুষ। তাঁকে ন্যায্য বিচারের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যায় না।’


৫১ বছর বয়সি কুলভূষণ ভারতীয় নৌসেনার অবসরপ্রাপ্ত অফিসার (Retired Indian Navy officer)। গুপ্তচরবৃত্তি ও সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে তাঁর মৃত্যুদণ্ড দেয় পাকিস্তানের সামরিক আদালত। এই রায়ের বিরোধিতা করে আন্তর্জাতিক আদালতের দ্বারস্থ হয় ভারত। ২০১৯-এ ভারতের পক্ষেই রায় দেয় আন্তর্জাতিক আদালত। কুলভূষণের মৃত্যুদণ্ড স্থগিত করে দেওয়া হয়। একইসঙ্গে পাকিস্তানকে নির্দেশ দেওয়া হয়, ভারতীয় দূতাবাসের আধিকারিকদের সঙ্গে কুলভূষণকে দেখা করতে দিতে হবে এবং ফের এই মামলার বিচার করতে হবে এই রায়ের বিরুদ্ধে পাকিস্তান রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ অধিবেশনে আবেদন জানায়। সেখানে তারা দাবি করে, কুলভূষণের বিরুদ্ধে যেহেতু চরবৃত্তির অভিযোগ রয়েছে, তাই তাঁকে ভিয়েনা চুক্তি অনুযায়ী ভারতীয় দূতাবাসের আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়ার কোনও সংস্থান নেই। কিন্তু রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ অধিবেশনে আন্তর্জাতিক আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘ওই অনুচ্ছেদে এমন কিছু লেখা নেই যে চরবৃত্তি বা ওই ধরনের কোনও অভিযোগ থাকলে দূতাবাসের আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হবে না। ফলে পাকিস্তানের দাবি অন্যায্য।’


২০২১-এর নভেম্বরে পাকিস্তানের পার্লামেন্টে একটি নতুন আইন পাশ হয়। সেই আইন অনুযায়ী, কুলভূষণের মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে সামরিক আদালতে আবেদন জানানোর অধিকার আছে। এরপরেই কুলভূষণের ন্যায়বিচার পাওয়ার আশা উজ্জ্বল হয়। আজ ইসলামাবাদ হাইকোর্টের রায়ে সেই সম্ভাবনা বাড়ল।