কলকাতা : উঠতে- বসতে মনটা বিরিয়ানি - বিরিয়ানি করে? ঘুমোলেও স্বপ্নে আসে বিরিয়ানির সুঘ্রাণ ? এই উপসর্গ কিন্তু অনেকেরই। বিরিয়ানি-প্রেমে যাঁরা হাবুডুবু খাচ্ছেন, তাঁদের চেখে দেখতেই হবে খোয়াবের বিরিয়ানি। স্বাদ এক্কেবারে আলাদা। হায়দরাবাদের সেফ , গত ৯ বছর ধরে রেঁধে চলেছেন এই সংস্থার জন্যই। ' এই বিরিয়ানির বৈশিষ্ট হল, প্রতিটি মশলার স্বাদ আর গন্ধ আলাদা করে চেনা যায়। আর ঘি-চপচপে ভাব নেই। খেলে বদহজমও হয় না।' বললেন সংস্থার কর্ণধার প্রতিমা বসু। তিনি জানালেন, এক সময় চুলায় রাঁধতেন বিরিয়ানি। এখন হয় আভেনেই। তবে স্বাদে এতটুকু পরিবর্তন হয়নি। করোনাকালের পর থেকে এই সংস্থা এখন শুধুমাত্র হোম ডেলিভারিতেই ঘরে ঘরে বিরিয়ানি পৌঁছে দেন। যদিও সঙ্গে আছে আরও নানা পদ - শামি কাবাব, টিক্কা, মটন ও মুরগির নানা প্রেপারেশন। কর্ণধান প্রতিমা বসু জানালেন, এখন বিরিয়ানির সঙ্গে থাকে খাঁটি বাঙালি পদও। বাসন্তি পোলাও, মাংস থেকে পায়েস , চাটনি --- সব। এবার খাইবার পাসে এই সব পদের পাশাপাশি থাকবে, নানারকম স্ন্যাকস , এক্কেবারে পকেট ফ্রেন্ডলি দামে।
শুধু স্টার্টার্স নয়, ডেসার্টেও বিশেষ বন্দোবস্ত রেখেছে খোয়াব। শেষ পাতে থাকছে নলেন গুড়ের ফিরনি। এমন ফিউশন মিষ্টির স্বাদ অপূর্ব। সংস্থার কর্ণধার প্রতিমা বসু জানালেন, হাঁড়িতে বিরিয়ানি পরিবেশন করার ট্র্যাডিশন কলকাতায় তাঁদের হাত ধরেই। আগে কলকাতা জুড়ে আউটলেট থাকলেও, এখন কোভিড পরিস্থিতিতে সুরক্ষার কথা ভেবে তাঁরা ক্লাউড কিচেন ফরম্যাটে এসেছেন। রন্ধন প্রক্রিয়া হয় রুবি হাসপাতাল সংলগ্ন তাঁদের অফিসেই। সেখান থেকে ১০ কিলোমিটার অবধি পৌঁছে দেওয়া হয় খাবার। বিভিন্ন ফুড ডেলিভারি অ্যাপেও এখন খোয়াবের খাবার অর্ডার করা যেতে পারে।
ভেজিটেবল চপ, মাটন চপ, ফিশ চপ, ফিশ ফ্রাই, ইত্যাদি স্ন্যাক পাবন ১০০ টাকার মধ্যেই। থাকছে মুখোরোচক আফগানি টিক্কা। মালাই কাবাব, চিকেন টিক্কা, টিকেন কবিরাজিও। এছাড়াও পাবেন বিরিয়ানির নানারকম প্ল্যাটার। সঙ্গে অবশ্যই রায়তা থাকছে।