নরেন্দ্র কুমার নামে বিএসএফের ওই হেড কন্সস্টেবলের দেহে তিনটি বুলেটের ক্ষতও রয়েছে। তিনি দীর্ঘক্ষণ নিখোঁজ ছিলেন। ৬ ঘন্টার বেশি সময় পরে তাঁর দেহ পাওয়া যায়। বিএসএফ কর্তারা বলেছেন, ওই জওয়ানের বুলেটে ক্ষতবিক্ষত, গলার নলি কাটা দেহ মিলেছে। আন্তর্জাতিক সীমান্তে ভারতীয় বাহিনীর সঙ্গে এমন অপ্রত্যাশিত আচরণ করা হয়েছে। পাকিস্তানি জওয়ানরা রয়েছেন এর পিছনে। বিএসএফ ও বাকি সব বাহিনী যথাসময়েই এর যোগ্য পাল্টা পদক্ষেপ করবে।
সোমবারই জম্মুতে বিএসএফের স্মার্ট ফেন্স কর্মসূচির সূচনা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, যার উদ্দেশ্য ভারত-পাক সীমান্তে যেসব জায়গায় নজরদারির অভাব আছে, সেখানে আধুনিক প্রযুক্তি ও গ্যাজেট বসানো। পরদিনই এমন নারকীয় ঘটনা।
বিএসএফের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রামগড় সেক্টরে বিএসএফের একটি দল বড় হয়ে যাওয়া ঘাস কেটে দিতে সীমান্তে ফেন্স বা বেড়ার কাছে যেতেই তাদের নিশানা করে নির্বিচারে গুলি চালায় পাকিস্তানের লোকজন। পাল্টা জবাব দেওয়া হয় এপার থেকেও। কিন্তু পরে বিএসএফ দলটি দেখে তাদের একজন সদস্যের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তারপর বাহিনীর সদর দপ্তর থেকে আরও লোকজন পাঠানো হয়। পুরো এলাকার নিরাপত্তা খতিয়ে দেখার পর নিখোঁজ জওয়ানের সন্ধান শুরু করে তারা। বেড়া থেকে আন্তর্জাতিক সীমান্ত পর্যন্ত জায়গাটি প্রচুর বড় বড় ঘন ঘাসে ভরা বলে তল্লাসিতে অসুবিধা হয়। তবে কিছুক্ষণের চেষ্টার পর তার দেহটি ক্ষতবিক্ষত, গলা সহ মাথায় আঘাত লাগা অবস্থায় পাওয়া যায়।
বিএসএফ কর্তারা এও জানান, ভারতীয় বাহিনীর তরফে ওপারের বাহিনী পাক রেঞ্জার্সকে ফোন করা হয়, বার্তা পাঠানো হয়, যাতে ওই জওয়ানের সন্ধানে তারাও চেষ্টা করে।