নয়াদিল্লি: তথ্যর অধিকার আইন (আরটিআই)-এর সংশোধনী সংসদে অনুমোদিত হল । রাজ্যসভায় ধ্বনি ভোটে এই সংশোধনী পাস হল। এরফলে সরকার এই বিধিবদ্ধ সংস্থার প্রধান ও সদস্যদের বেতন ও চাকরির শর্ত নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।
এই বিল সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর ব্যাপারে বিরোধীদের প্রস্তাব খারিজ হওয়ার ক্ষেত্রে দেখা গেল নাটকীয় টানাপোড়েন।
গত সোমবারই লোকসভায় পাস হয়েছে আরটিআই (সংশোধনী) বিল, ২০১৯। আজ বৃহস্পতিবার বিরোধীদের ওয়াক আউটের পর ধ্বনি ভোটে এই বিল রাজ্যসভায় গৃহীত হল। সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাবে ভোটাভুটিতে ট্রেজারি বেঞ্চের ‘ভীতি প্রদর্শনের’ কৌশলের অভিযোগে সোচ্চার হন বিরোধী সদস্যরা।
রাজ্যসভায় কর্মীবর্গ ও প্রশিক্ষণমন্ত্রী জীতেন্দ্র সিংহ, এই আইনকে লঘু করার যে অভিযোগ বিরোধীরা এনেছেন, তা খারিজ করেছেন। তিনি বলেছেন, এই বিলের উদ্দেশ্য এই আইনকে প্রাতিষ্ঠানিক করা। বিরোধীদের প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটির সময় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির তৈরি হয়।
সম্প্রতি টিডিপি ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া সিএম রমেশকে সদস্যদের স্বাক্ষর করা ভোট স্লিপ নিতে দেখা যায়, তখন কংগ্রেসের নেতৃত্বে বিরোধী সদস্যদের সঙ্গে তাঁর বচসা দেখা দেয়। কাউকে কাউকে তাঁর হাত থেকে স্লিপ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতে দেখা যায়।
ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ রমেশকে তাঁর আসনে বসার নির্দেশ দেন। এরইমধ্যে কংগ্রেস সদস্য ভিপলোভ ঠাকুর ও অন্যান্য তাঁর হাত থেকে ভোট স্লিপ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। অন্যান্য বিরোধী সদস্যরা ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।
এরইমধ্যে বিরোধী দল নেতা গুলাম নবি আজাদ জানান যে, তাঁরা ওয়াক আউট করছেন।

এরপর প্রায় সমস্ত বিরোধী সদস্যরা কক্ষত্যাগ করেন। এরপর বিলটি সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব নিয়ে ভোটের গণনায় দেখা যায়, প্রস্তাবের পক্ষে ৭৫ এবং বিরুদ্ধে ১১৭ ভোট পড়েছে।

টিআরএস, বিজেডি এবং ওয়াইএসআর কংগ্রেস সদস্যরা সভাতে ছিলেন এবং তাঁরা ওই প্রস্তাব সম্পর্কে শাসক এনডিএ-র পক্ষে ভোট দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
ভোটাভুটির আগে রেলমন্ত্রী পিযুষ গয়াল ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী প্রহ্লাদ পটেলকে টিআরএস ও বিজেডি সদস্যদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়।
বিরোধী বেঞ্চ খালি থাকায় ধ্বনি ভোটে সংশোধনী অনুমোদিত হয়ে যায়।
বিরোধীরা বিলটি সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাবের ওপর প্রথমে ভোটাভুটির দাবি করেন। কিন্তু চেয়ারপার্সন বলেন, বিতর্কের পরই এ বিষয়ে ভোটাভুটি হবে। এই বিষয়টি নিয়ে এর আগে একাধিকবার অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যায়।
শেষপর্যন্ত সভায় আলোচনার সময় কংগ্রেস, তৃণমূল, বাম ও সপা সদস্যরা সংশোধনীর বিরোধিতা করেন। সরকারের পক্ষ থেকে বিরোধীদের সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে দেওয়া হয়।