নয়াদিল্লি: দেশে যেদিন প্রথমবার পেট্রোলের দাম তিন অঙ্কে পৌঁছে গেল, সেদিনই পেট্রোপণ্যে ভারতের স্বনির্ভর না হয়ে উঠতে পারার জন্য পূর্বতন সরকারগুলিকে দায়ী করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর দাবি, এর আগের সরকারগুলি যদি বিদেশ থেকে জ্বালানি আমদানি করার উপর নির্ভরতা কমানোর উপর জোর দিত, তাহলে এই পরিস্থিতি তৈরি হত না।
বুধবার ভার্চুয়ালি তামিলনাড়ুতে তেল ও গ্যাস প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। সেই অনুষ্ঠানেই তিনি বলেন, ‘আমাদের মতো বৈচিত্র্যপূর্ণ ও প্রতিভাসম্পন্ন দেশ জ্বালানি আমদানির উপর এতটা নির্ভরশীল থাকতে পারে? আমি কারও সমালোচনা করতে চাই না। কিন্তু আমি বলতে চাই, আমরা যদি অনেক আগেই এই বিষয়টির উপর জোর দিতাম, তাহলে আমাদের দেশের মধ্যবিত্ত শ্রেণিকে এই সমস্যায় পড়তে হত না।’
টানা ৯ দিন দেশে পেট্রোপণ্যের দাম বেড়েছে। রাজস্থানে পেট্রোলের দাম ১০০ টাকা পেরিয়ে গিয়েছে। এরই মধ্যে রান্নার গ্যাসের দামও বেড়েছে। বিরোধী দলগুলি কেন্দ্রীয় সরকারের তীব্র সমালোচনা করছে। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমলেও, দেশে ক্রমাগত দাম বেড়ে চলা নিয়ে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে সরকার। এই পরিস্থিতিতে নাম না করে কংগ্রেসকে পাল্টা আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী।
ভারতে যত পেট্রোপণ্য প্রয়োজন হয়, তার বেশিরভাগটাই বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ৮৫ শতাংশ পেট্রোপণ্যই আমদানি করা হয়। দেশে পেট্রোলের দামের ৬০ শতাংশ কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলির কর বাবদ থাকে এবং ডিজেলের ক্ষেত্রে কেন্দ্র ও রাজ্যের কর মোট দামের ৫৪ শতাংশ। এই বিপুল করও পেট্রোপণ্যের দাম বাড়ার কারণ বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমাজদের সরকার মধ্যবিত্তদের কথা ভাবছে। সেই কারণেই ভারত ইথানলের উপর জোর দিচ্ছে। কৃষক ও উপভোক্তাদের যাতে সুবিধা হয়, সেই চেষ্টা করছি আমরা। ভারত এখন পুনর্ব্যবহারযোগ্য জ্বালানির উপর জোর দিচ্ছে। ২০৩০ সালের মধ্যে সব জ্বালানির ৪০ শতাংশই পরিবেশবান্ধব হবে। জ্বালানি আমদানি কমানোর উপরেও জোর দিচ্ছি আমরা।’