ভুবনেশ্বর: ওড়িশায় ‘ফণী’র তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা আকাশপথে পর্যবেক্ষণ করে রাজ্যকে বিপর্যয় মোকাবিলায় বাড়তি কেন্দ্রীয় সহায়তা হিসাবে ১০০০ কোটি টাকা ঘোষণা করলেন নরেন্দ্র মোদি। বিধ্বংসী প্রাকৃতিক বিপর্যয় প্রতিরোধে ওড়িশার নবীন পট্টনায়ক সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করেন তিনি। আগাম কেন্দ্র ওড়িশাকে ৩৮১ কোটি টাকা মঞ্জুর করে। ফণী আছড়ে পড়ার আগেই কয়েক লক্ষ মানুষকে যুদ্ধকালীন তত্পরতায় নিরাপদ আশ্রয়ে যেভাবে রাজ্য প্রশাসন সরিয়ে ফেলে, তার উল্লেখ করেন তিনি। সাইক্লোনের দাপটে তছনচ রাজ্যে নিহতদের পরিবারপিছু ২ লক্ষ টাকা ও আহতদের ৫০০০০ টাকা ক্ষতিপূরণও ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। ফণী রাজ্যে কেড়ে নিয়েছে অন্তত ৩৪ জনের জীবন।
ফণী-বিধ্বস্ত অঞ্চল পরিদর্শনের পর মোদি বলেন, পট্টনায়কের নেতৃত্বাধীন সরকার প্রাণহানি এড়াতে উপকূল এলাকা খালি করে দেওয়ার ব্যাপারে প্রশংসা করার মতো কাজ করেছে। ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা খতিয়ে দেখতে শীঘ্রই রাজ্যে আসবে একটি কেন্দ্রীয় দল।
রাজ্য সরকার দ্রুত প্রায় ১২ লক্ষ মানুষকে উপকূল এলাকা থেকে দ্রুত সরিয়ে ফেলায় ফণী আঘাত করার পর খুব বেশি প্রাণহানি হয়নি গত শুক্রবার।
এ ধরনের বিপর্যয় মোকাবিলায় সঙ্কট কালে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের মধ্যে সুষ্ঠু সমন্বয় গড়ে তোলার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতির মুখে তৈরি থাকার জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা তৈরি হবে বলেও জানান। বলেন, পুনরুদ্ধার, পুনর্গঠনের কাজে ওড়িশার প্রয়াসে সবধরনের সম্ভাব্য সহযোগিতার ব্যবস্থা করতে কেন্দ্র দায়বদ্ধ। সাইক্লোনের সঙ্গে লড়তে সময়মতো ঝাঁপিয়ে পড়ায় রাজ্যের মানুষকে অভিনন্দন জানাতে চাই। মত্স্যজীবী ও অন্য সবাইকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে সরকার।
মুখ্যমন্ত্রী পট্টনায়ক, অন্যান্য পদস্থ প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকও করেন মোদি।
রবিবারই তিনি ট্যুইট করেন, কাল সকালে ওড়িশা যাচ্ছি। সাইক্লোন ফণী পরবর্তী পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে বৈঠক করব। কেন্দ্র যাবতীয় ত্রাণকার্য্যে সম্ভাব্য সব সহায়তা দিতে দায়বদ্ধ, পুনর্বাসন প্রক্রিয়া চলছে।