নয়াদিল্লি: দলিতদের প্রতিবাদ সভায় হাজির রাহুল গাঁধী। কংগ্রেস সভাপতি নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। বললেন, দলিত-বিরোধী মানসিকতা ওনার।
১৯৮৯এর তফসিলি জাতি ও উপজাতি নির্যাতন রোধ আইনের ধারা লঘু করে দেওয়ার অভিযোগে যন্তরমন্তরে দলিতদের প্রতিবাদ সমাবেশ ছিল রাজধানীর যন্তরমন্তরে। সেখানেই কংগ্রেস সভাপতি তাঁর দল সকলের জায়গা হবে, এমন এক ভারতের জন্য লড়াই করবে বলে ঘোষণা করেন।
রাহুল বলেন, তফসিলি জাতি ও উপজাতি নির্যাতন রোধ আইন এনেছিল, সকলের সঙ্গে মিলেই তাকে রক্ষা করবে কংগ্রেস। বিজেপি যে রাজ্যগুলিতে ক্ষমতায়, সেখানে প্রকাশ্যেই দলিতদের নিগ্রহ, দমনপীড়ন করা হচ্ছে। এমন ভারত আমরা চাই না। আমরা সেই ভারত চাই, যেখানে দলিত, গরিব, আদিবাসী, উপজাতি বা সংখ্যালঘু, যে-ই হোক, সবার জায়গা হবে। প্রত্যেকের উন্নয়ন, অগ্রগতি হবে। এমন এক ভারতের জন্য আমাদের লড়াই চলবে।
পাশাপাশি সভায় প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করে রাহুল ওনার চিন্তাভাবনা দলিত-বিরোধী বলে মন্তব্য করেন। বলেন, সব দলিত ও দুর্বল সম্প্রদায়ের লোকজন জানেন, প্রধানমন্ত্রীর মনে তাঁদের প্রতি কোনও ভালবাসা, সহানুভূতি নেই, কোনও জায়গা নেই তাঁদের জন্য, দলিতদের তিনি ধ্বংস করে দিতে চান। সেজন্যই আমরা ওনার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছি।

পাল্টা রাহুলকে ট্যুইটে আক্রমণ করে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ বলেন, ভাল হয় যদি উনি পুরানো ইতিহাসের দিকে তাকান। বাবাসাহেব অম্বেডকর, বাবু জগজীবন রাম, সীতারাম কেশরীর প্রতি কংগ্রেস কেমন আচরণ করত, সেটা ভাবুন! তোষণ কর, খুশি রাখো, দলিতদের প্রতি এটাই কংগ্রেসের আচরণ। কিন্তু কংগ্রেস বহু বছর ধরে দলিত আশাআকাঙ্খা, বাসনাকে অপমান করেছে।



কেন্দ্র তফসিলি জাতি ও উপজাতি নির্যাতন রোধ আইনের আসল ধারাগুলি ফিরিয়ে আনতে সংসদে বিল এনেছে বলে উল্লেখ করে বিজেপি সভাপতি বলেন, মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্তের মাধ্যমে এবং সংসদে ওই আইনে সবচেয়ে শক্তিশালী সংশোধনী সুনিশ্চিত করেছে এনডিএ সরকার।
রাহুলকে খোঁচা দেন অমিত। ট্যুইট করেন, রাহুলজি, চোখ টেপা, সংসদ বানচাল করার পর সময় পেলে একটু তথ্যের দিকেও মনোযোগ দেবেন!