নয়াদিল্লি: আজ ‘স্বচ্ছতা হি সেবা’ অভিযানে দলিত আইকন বি আর অম্বেডকরের নামাঙ্কিত একটি স্কুলে ঝাড়ু হাতে দেখা গেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। তিনি বলেছেন, মহাত্মা গাঁধী যে পরিচ্ছন্ন ভারতের স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেটা পূরণ করার জন্য সমাজের সব অংশের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে।


আজ ঝাঁট দিয়ে স্কুল পরিষ্কারের পাশাপাশি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, বলিউডের শাহেনশাহ অমিতাভ বচ্চন, শিল্পপতি রতন টাটা সহ বহু মানুষের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ‘স্বচ্ছ ভারত প্রকল্প চালু হওয়ার পর চার বছরে সারা দেশে জঞ্জাল সাফাইয়ের কাজ ৪০ শতাংশ থেকে বেড়ে ৯০ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে। খুব কম লোকই ভাবতে পেরেছিল, চার বছরে ৯ কোটি শৌচাগার তৈরি হবে এবং সাড়ে ৪৫০টি জেলা, ২০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল প্রকাশ্যে শৌচকর্মমুক্ত হিসেবে ঘোষিত হবে। এটা ঐতিহাসিক দিন।’

আদিত্যনাথ বলেছেন, ‘দেশের সবচেয়ে জনবহুল ও দরিদ্রতম রাজ্যগুলির অন্যতম উত্তরপ্রদেশ এ বছরের ২ অক্টোবরের মধ্যে প্রকাশ্যে শৌচাগারমুক্ত হিসেবে ঘোষিত হবে। স্বচ্ছ ভারত অভিযানের জরিপে এমনই বলা হয়েছে। ২০১৯-এর অক্টোবরের মধ্যে রাজ্যের সব বাড়িতে শৌচাগারের ব্যবস্থা করার চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার। গত বছরে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর ১.৩৬ কোটি শৌচাগার তৈরি করা হয়েছে। এর ফলে পতঙ্গবাহিত রোগ অনেক কমে গিয়েছে।’

স্বচ্ছতা অভিযানে সাফল্যের জন্য উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি অসম, কেরল, তামিলনাড়ু, বিহার, কর্ণাটক, রাজস্থান ও হরিয়ানার মানুষের সঙ্গেও কথা বলেন। এছাড়া ইন্দো-টিবেটান বর্ডার পুলিশের জওয়ান, সদগুরু জগ্গি বাসুদেব, শ্রী শ্রী রবিশঙ্কর, মাতা অমৃতানন্দময়ী সহ বেশ কয়েকজন ধর্মগুরুর সঙ্গে কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যাঁরা স্বচ্ছতা অভিযানে যোগ দিচ্ছেন, তাঁরা ভবিষ্যতে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের মতোই মর্যাদা পাবেন এবং গাঁধীর আসল উত্তরাধিকারী হিসেবে পরিচিত হবেন। জঞ্জাল সাফাইয়ে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য আর্ট অফ লিভিংয়ের প্রতিষ্ঠাতা রবিশঙ্করের প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।